কণ্নুর লোকেশ রাহুল কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণকারী ভারতের উদীয়মান ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে কর্ণাটকের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
স্ট্যাম্প মাইক্রোফোনের দৌলতে এখন বাইশ গজের ছোটখাটো কথাবার্তাও পৌঁছে যায় দর্শকদের কাছে। সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে বিরাট কোহলি কীভাবে দলকে তাতিয়েছিলেন, তা এখন সকলেরই জানা।
দ্বিতীয় টেস্টে আবার কেএল রাহুলকে আম্পায়ার মরিস ইরাসমাসের ওয়ার্নিংয়ের সামনে পড়তে হল। সেই কথোপকথনও ধরা পড়ে গেল স্ট্যাম্প মাইকে। দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের স্ট্যান্ড ইন ক্যাপ্টেন হয়েছেন কেএল রাহুল। পিঠে চোটের কারণে মাঠে নামতে পারেননি কোহলি।
১৯৯০-এ মোহাম্মদ আজাহারউদ্দিনের পরে কেএল রাহুল প্ৰথম ক্যাপ্টেন যিনি সীমিত ওভারে জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়ার আগে টেস্টেই অধিনায়ক হয়ে গেলেন। টসে জিতে প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে কেএল নিজেদের ইনিংস চলাকালীনই আম্পায়ারের কাছে সতর্কিত হলেন।
ভারতীয় ইনিংসের পঞ্চম ওভারে কাগিসো রাবাদার বলে একদম শেষ মুহূর্তে ব্যাট করা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। অনেকটা দৌড়ে এসে ওভারের তৃতীয় বল করার সময়ে রাবাদাকে সেই কারণে একদম শেষ মুহূর্তে থামতে হয়।
রাহুল সেই সময় ব্যাট করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। সেটা তাঁর অভিব্যক্তিতেই স্পষ্ট হয়ে যায়। তিনি ব্যাট দিয়ে মাঠ ঠুকতে থাকেন।
আম্পায়ার মরিস ইরাসমাস কড়া ভাষায় বলে দেন, “রাহুল পুল আউট করলে একটু দ্রুত করো।” রাহুলও দ্রুত ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পান।ম্যাচে ভারত প্ৰথমে বেশ বিপাকে।
ওয়ান্ডার্সের পিচে প্ৰথম ঘন্টায় ব্যাটসম্যানদের জন্য রসদ থাকে। সেই কথা বিবেচনা করেই প্ৰথম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। মায়াঙ্ক আগারওয়ালের সঙ্গে ওপেনিং পার্টনারশিপে কেএল রাহুল স্কোরবোর্ডে ৩৬ তোলার পরেই প্ৰথম উইকেট হারায় ভারত।
৩৭ বলে ২৬ করে মায়াঙ্ক আগারওয়াল মার্কো জ্যানসেনের বলের শিকার হয়ে ফিরে যান। এরপরে অলিভিয়েরের বলে ব্যাটের কানায় লেগে আউট হন পূজারা।
তারপরের ওভারেই অলিভিয়ের প্ৰথম বলে ফিরিয়ে দেন রাহানেকে। দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ ধরেন কিগান পিটারসেন। লাঞ্চের সময় স্কোরবোর্ডে ৫৬ তোলার ফাঁকেই ভারত একসময় ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল।