
মহেন্দ্র সিং ধোনী ঝাড়খণ্ডের রাঁচি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় ক্রিকেটার। মহেন্দ্র সিং ধোনীর অধিনায়কত্বে ভারত ২০০৭ আইসিসি বিশ্ব টোয়েন্টি২০,







২০০৭-০৮ সালের সিবি সিরিজ, ২০০৮ সালের বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি, ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২-০ ব্যবধানে একটি সিরিজ ও ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় করেছে।
প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি বিশ্বের অন্যতম সেরা উইকেট রক্ষক তথা অধিনায়কও। বর্তমানে তিনি হাজার হাজার ভারতীয় ক্রিকেটারের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। অনেকবার ব্যর্থ হওয়ার পরেও তিনি ফিরে এসেছেন রাজকীয়ভাবে।
একজন মহান খেলোয়াড়ের কেবল দলে টিকে থাকাই লক্ষ্য নয়, তিনি কতটা ভালো ব্যক্তি সেটাও প্রমাণ করা। তিনি ভারতীয় ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছিলেন।
মহেন্দ্র সিং ধোনি ভারতীয় দলের হয়ে মোট ৩৩২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন, যা একটি রেকর্ড। এখনও পর্যন্ত কোনও অধিনায়ক এত ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেননি।







এছাড়া তিনি তরুণদের বারবার সুযোগ দিয়ে পরবর্তীকালের জন্য ভারতীয় দলের ভীতকে মজবুত করে তুলেছিলেন। এর বড়ো দৃষ্টান্ত রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, ও রবীন্দ্র জাদেজার মতো খেলোয়াড়রা।
মহেন্দ্র সিং ধোনি কেবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা অধিনায়কই নন, তিনি একমাত্র অধিনায়ক যিনি আইসিসি-র সমস্ত ট্রফিগুলি জিতেছেন। ১৯৮৩ সালের ২৮ বছর পর ২০১১ সালে ভারতীয় দল বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়।
নুয়ান কুলসেকারার বলে ধোনি ছক্কা হাঁকিয়ে ভারতকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছিলেন, সেটা ১০ বছর কেটে গেলেও আজও প্রতিটি ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীর স্মৃতিতে তরতাজা।







২০১১ বিশ্বকাপের পর একটি সাক্ষাৎকারে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আপনি কাকে আদর্শ হিসেবে মেনে চলেন বা কোন ব্যক্তি আপনাকে অনুপ্রাণিত করে। তখন তিনি প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার এবং বলিউড সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চনের নাম করেছিলেন।
বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি বলেছেন, ‘পুরো ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার সবার জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। শচীন টেন্ডুলকার তাঁর ক্রিকেট দিয়ে ভারতীয়দের ভালোবাসা আদায় করেছেন।’
ধোনি আরও বলেন, ‘শচীন টেন্ডুলকার এবং অমিতাভ বচ্চন দুজনেই অসাধারণ এবং খুবই নম্র। দু’জনেই অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মাইলফলক অর্জন করেছেন, যা সকলের জন্য অনুপ্রেরণা।’ এই দুই ব্যক্তিই হলেন ধোনির আদর্শ।







Leave a Reply