
টি-২০ বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার সঙ্গেই ভারতীয় দলের হেড কোচ হিসাবে দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় রবি শাস্ত্রীর। ভারতীয় দলের সঙ্গে কোচ হিসাবে পাঁচ বছরের কেরিয়ারে পড়েছে ইতি। এখন তিনি প্রাক্তন ভারতীয় কোচ। শাস্ত্রীর সঙ্গে বিরাট কোহলির সম্পর্কই ছিল অত্যন্ত ভাল।







কোচ-ক্যাপ্টেনের বোঝাপড়াই ছিল অন্য মাত্রায়। সম্প্রতি কোহলিকে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই। এখন বিরাট শুধুই টেস্ট ক্যাপ্টেন। সাদা বলের দায়িত্ব সামলাবেন রোহিত শর্মা।
কোহলির অধিনায়কত্ব ইস্যু নিয়ে বাইশ গজে ঝড় উঠে গিয়েছে। একপ্রকার বিসিসিআই বনাম বিরাট হয়ে যায় ইস্যুটা। এবার বিরাট-রোহিতের ইস্যুতে মুখ খুললেন শাস্ত্রী।
স্টার স্পোর্টস-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেন, “এটাই এগিয়ে যাওয়ার সঠিক রাস্তা। বিরাট-রোহিতের জন্য বিষয়টা ছদ্মবেশে আশীর্বাদের মতো।







একজনের পক্ষে তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব করা সহজ নয় এখন। কোভিডের পরিস্থিতিতে বায়ো-বাবলে থাকতে হচ্ছে। বিরাট লাল বলের ক্রিকেটে ফোকাস করতে পারবে এর পাশাপাশি ও যতদিন ইচ্ছা টেস্টে নেতৃত্ব দিতে পারবে।
এর ফলে কোহলি শান্তিতে বসে ওর নিজের ক্রিকেট নিয়ে ভাবতে পারবে। ওর হাতে এখনও ৫-৬ বছর ক্রিকেট বাকি আছে।” অন্যদিকে বিরাট বনাম বিসিসিআই ইস্যুতেও বড় বক্তব্য রাখলেন শাস্ত্রী।
তিনি বলেন, “বিরাট ওর দিকটা বলেছে। বোর্ড প্রেসিডেন্টও তার দিকটা বলুক। ভাল কথোপকথনের মাধ্যমে পরিস্থিতি আরও ভাল ভাবে সামাল দেওয়া যেত।”







দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যাওয়ার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন কোহলি। সেখানে এসে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে টেস্ট দলের অধিনায়ক সটান বলে দেন যে সীমিত ওভারের দায়িত্ব ছাড়ার ব্যাপারে বিসিসিআই-এর কেউ অনুরোধ করেননি।
এমনকি একদিনের দলের নেতৃত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারেও বোর্ডের দায়সারা মনোভাব ছিল। কোহলির দাবি ছিল, গত ৮ ডিসেম্বর মুখ্য নির্বাচক চেতন শর্মা দল নির্বাচনের মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে ফোন করেছিলেন।
টেস্ট দল নিয়ে আলোচনার একেবারে কোহলিকে একদিনের দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যদিও কয়েক সপ্তাহ আগে সৌরভ একাধিক জাতীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে তিনি কোহলিকে অধিনায়কত্ব না ছাড়ার বিষয়ে অনুরোধ করেছিলেন।







Leave a Reply