
পরিবারের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ছিল। ক্রিকেট খেলার জন্য যে সরঞ্জামের প্রয়োজন ছিল, তা জোগানোর মতো সামর্থ্য ছিল না। ছেলে যে ভালো খেলবেন, সেই ভরসাও ছিল না।







ফলে কেউই চাননি যে ছেলে ক্রিকেট খেলুক। সেই ছেলে – জিশান জামিরই শনিবার দুবাইয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারতকে গুঁড়িয়ে দিলেন। নিলেন পাঁচ উইকেট।
শনিবার দুবাইয়ে টসে জিতে প্রথমে বোলিং নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক কোয়াসিম আক্রম। শুরুতেই ভারতকে ধাক্কা দেন জিশান। ১৪ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় ভারত। তিনটি উইকেট নেন জিশান।
শেষপর্যন্ত ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে পাঁচটি উইকেট নেন পাকিস্তানের তরুণ পেসার। মূলত তাঁর সৌজন্যেই নির্ধারিত ৫০ ওভারও খেলতে পারেনি ভারত।
৪৯ ওভারে ২৩৭ রানে অল-আউট হয়ে যান রবি কুমাররা। অথচ জিশানের ক্রিকেট খেলার পক্ষে পরিবারের মত ছিল না। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন জিশান। তাঁর বাবা একটি স্থানীয় সংস্থায় কাজ করতেন।







নাজিমাবাদের একটি যৌথ পরিবারে বড় হয়ে ওঠেন জিশান। একটি বাড়িতে থাকতেন ২৮ জন। তারইমধ্যে বাড়ির কাছেই মাঠে একটি ভাইকে খেলতে দেখে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ গড়ে ওঠে জিশানের।
ক্যাম্বিস বলে দক্ষতা দেখে এক বন্ধু জিশানকে করাচির ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে নিয়ে যান। তারপর করাচির অনূর্ধ্ব-১৬ দলে নির্বাচিত হন। কিন্তু পরিবারের সকলেই ক্রিকেট খেলার বিপক্ষে ছিলেন।
একটি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে জিশান জানিয়েছিলেন, পরিবারের কেউ ভাবতেই পারেননি যে ক্রিকেট থেকে টাকা রোজগার করতে পারবেন ছেলে।
সেইসঙ্গে পরিবারের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে ক্রিকেটের কোনও সরঞ্জামও কিনতে পারেননি জিশান। তবে হাল ছাড়েননি তিনি। নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকেন।
চোট সত্ত্বেও ধীরে ধীরে সাফল্য পেতে থাকেন। পাকিস্তান সুপার লিগে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড লিগে সুযোগ পান জিশান। ক্রিকেটে যাঁর আদর্শ হলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) তারকা তথা অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।







Leave a Reply