সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে ভারত বিদেশের মাটিতে জিততে শিখেছে। তাই ভারতীয় ক্রিকেটের রূপকার বলা হয় তাকে।
যে সময় ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিল ভারতীয় টিম সেই সময় তিনি নিজের কাঁধে নিয়ে তুলে নিয়েছিলেন ভারতীয় টিমকে এবং শক্তিশালী দল হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। তার নেতৃত্বে ভারতীয় দল খুব সহজে হেরে যেত না।
নকআউট ম্যাচে সৌরভ গাঙ্গুলী সবসময় ভারতের হয়ে সেরা পারফরম্যান্স করেছেন। তিনি আইসিসি টুর্নামেন্ট এর নকআউটে ফাইনাল এবং সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। 2002 চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই কৃতিত্ব করেছিল সৌরভ। 2003 বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন।
তার নেতৃত্বে ভারত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠেছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর গাঙ্গুলীর ছাড়া আর কারো নেই। শচীন-সৌরভ ওপেনিং পার্টনারশিপ ক্রিকেট বিশ্বে স্মরণীয় একটি দিক।
এই ওপেনিং জুটি 6609 রান তোলে। 21 বার শত রানের পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে এদের ব্যাট থেকে। এই পার্টনারশিপ গড়ে তোলা আর কোন ওপেনিং জুটির পক্ষে অন্তত সম্ভব নয়।
ব্যাটসম্যান এবং অলরাউন্ডার হিসেবে আমরা সৌরভ গাঙ্গুলীকে চিনে থাকি। তিনি 5 জন ক্রিকেটারের মধ্যে একজন যিনি 10000 রান করেছেন ওয়ানডে ক্রিকেটে এবং 100 উইকেট নিয়েছেন তার পাশাপাশি 100 টি ক্যাচ ধরেছেন।
তিনি কোন আইসিসি শিরোপা জিততে পারেনি ঠিকই তবে আইসিসি টুর্নামেন্ট নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন সবসময়। তিনিই একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফিতে তিনটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন পরপর।
সৌরভ গাঙ্গুলী একমাত্র খেলোয়াড় যিনি পরপর চারটি ম্যাচে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ এর পুরস্কার জেতার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। 1997 সালের সাহারা সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই কৃতিত্ব করেছিল মিস্টার গাঙ্গুলী। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেবার 4-1 সিরিজ জিতেছিল ভারত।