
সাম্প্রতিক সময়ে যে রিপোর্ট উঠে আসছে তাতে বলা যায় ভারতের আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ইশান্ত শর্মার শেষ সিরিজ হতে পারে। বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দল দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনটি টেস্ট খেলবে।







আগের মতো বিদেশ সফরে ভারতের প্রথম একাদশে ইশান্তের জায়গা আর পাকা নয়। তাছাড়া এখন তাঁকে প্রায়ই ফর্ম ও ফিটনেসের কারণে ভুগতে হয়।
ভারতের হয়ে ১০৫টি টেস্ট খেলে ফেলা দিল্লীর এই পেসার আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে অভাবনীয় ভালো পারফর্ম্যান্স না করে ফেললে, এই সিরিজের পর তাঁকে আর জাতীয় টেস্ট দলে দেখা না যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশী।
হয়তো আরও কয়েক বছর খেলতেন, তবে একঝাঁক পেসারের উত্থান ত্বরান্বিত করল ইশান্ত শর্মার শেষ সিরিজ
ইদানীং বেশ কিছু পেসারের উত্থানের কারণে নির্বাচকরা আর ইশান্তকে খেলিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী নন।
তরুণ এবং প্রতিভাবান পেসারদের প্রথম একাদশে না হলেও স্কোয়াডের সাথে রেখে তাঁদেরকে জাতীয় দলের পরিসরের মধ্যে রাখতে আগ্রহী নির্বাচকরা। তাছাড়া সম্প্রতি শার্দুল ঠাকুর ও মহম্মদ সিরাজ স্বল্প সুযোগেই নিজেদের ছাপ রেখেছেন, তাই ইশান্তের গুরুত্ব আগের চেয়ে কমে গেছে।







ইশান্তের পাশাপাশি ফর্মের নিয়ে ভুগতে থাকা দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার অজিঙ্কা রাহানে ও চেতেশ্বর পূজারার দিকেও নজর থাকবে ২৬শে ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলা আসন্ন সিরিজে।
“রাহানেকে সহ-অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া ইশান্তের জন্য একটি স্পষ্ট সংকেতবার্তা। দলের সিনিয়র সদস্য হিসেবে তাঁকে আরও অবদান রাখতে হবে। পুজারার ক্ষেত্রেও তাই।
তিনিও দীর্ঘকাল ধরে আছেন এবং এখন দল আশা করে যে তিনি বড় ম্যাচগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলবেন,” বিসিসিআইয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন।
“যদি তাঁরা ধারাবাহিকভাবে রান করেন এবং সিরিজে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেন, তবে তাঁদের টেস্ট কেরিয়ার বাড়াতে সক্ষম হবেন। কিন্তু ইশান্তের ক্ষেত্রে হয়তো এখানেই ইতি,” ওই কর্তা যোগ করেছেন।
জাহির খান অবসর নেওয়ার পর থেকে ইশান্তই ছিলেন টেস্টে ভারতীয় পেস বোলিংয়ের নেতা। কিন্তু বিগত তিন বছরে জসপ্রীত বুমরাহ্ ও মহম্মদ শামির অসাধারণ সাফল্য ইশান্তকে পিছনের সারিতে ঠেলে দেয়।







ভারতের হাতে এখন প্রচুর পেস বোলিং বিকল্প। অভিজ্ঞ উমেশ যাদব দীর্ঘ দিন ধরেই দলের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া উঠে আসছেন প্রসিধ কৃষ্ণ, আবেশ খান, উমরান মালিক এবং নভদীপ সাইনির মতো ফাস্ট বোলাররা,
যাঁরা নিয়মিত ঘণ্টায় ১৪০ কিমির উপর গতিতে বোলিং করতে সক্ষম। বছরের মাঝামাঝি হওয়া ইংল্যান্ড সিরিজের অনুকূল পরিস্থিতেও ইশান্তের নিয়মিত জায়গা হয়নি প্রথম একাদশে।
ইশান্তের ফর্মও ইদানীং পড়তির দিকে। গত ১২ মাসে ইশান্ত আটটি টেস্ট খেলে ৩২.৭১ গড়ে মাত্র ১৪টি উইকেট নিয়েছেন। এখন দেখার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর তাঁর কেমন কাটে।







Leave a Reply