২০১৩ সালে প্রথমবার তিনি ওয়ান ডে ব্যাটসম্যানদের আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের প্রথম স্থানে পৌঁছে যান, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও কোহলি সাফল্য এসেছে এবং আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতে দু-দুবার তিনি ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছিলেন (২০১৪ এবং ২০১৬ সালে)।
২০১৪ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির টেস্ট অবসর গ্রহণের পর কোহলি ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক নিযুক্ত হয়ে টেস্ট অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পান। ২০১৭ সালের প্রথম দিকে, ধোনি অধিনায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করার পরে তিনি ওয়ানডেতেও অধিনায়ক হন।
ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০,০০০ এবং ১১,০০০ রানের রেকর্ডটি তারই করা, যথাক্রমে ২০৫ ও ২২২ রান করে ছিলেন।[৪][৫] বর্তমানে, ভারতের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সকল স্তরে মহেন্দ্র সিং ধোনি’র পরিবর্তে তিনি অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসাবে বিবেচিত।
এছাড়াও তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর হয়ে খেলেন, এবং ২০১৩ সাল থেকে দলের অধিনায়ক ছিলেন। অক্টোবর ২০১৭ সাল থেকে তিনি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ওয়ান ডে ব্যাটসম্যান এবং টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কোহলির সেরা টেস্ট রেটিং (৯৩৭ পয়েন্ট), ওয়ানডে রেটিং (৯১১ পয়েন্ট) এবং টি ২০ রেটিং (৮৯৭ পয়েন্ট) রয়েছে।
টানা ৭ বছর অধিনায়কত্ব করার পর শনিবার ভারতের টেস্ট অধিনায়কের পদ ছাড়লেন বিরাট কোহলি। এরপর থেকে দেশ বিদেশের বিভিন্ন ক্রিকেট ব্যাক্তিত্ব কোহলির এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে নিজের মন্তব্য জাহির করেছেন, সোমবার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ট্যুইট করলেন কোহলির জাতীয় দলের সতীর্থ রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
বিরাট কোহলি’র এই আকস্মিক সিদ্ধান্তে মন খারাপ গোটা ক্রিকেট মহলের। বিরাটের অগুনতি ভক্তদের সাথে সাথে, অনেক বর্তমান ক্রিকেটার’রাও তার এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে, তাকে ভবিষ্যতে আরও উন্নতির পথে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা জানিয়েছেন।
অধিনায়কত্ব ছাড়লেও অধিনায়ক কোহলির প্রভাব থেকে যাবে দলের মধ্যে ,এমনটাই মতামত অশ্বিনের।
তিনি ট্যুইট করে লেখেন, ” রেকর্ড, কেমন ভাবে জয়লাভ করেছে, এমন সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় যখন কোনও দলের অধিনায়ক’কে নিয়ে আলোচনা হয়। তবে তোমার অধিনায়কত্বের প্রভাব দীর্ঘদিন ধরে বজায় থাকবে ।
মানুষ আজীবন অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা বিভিন্ন দেশে জয় গুলো নিয়ে আলোচনা করবে আজীব। দারুণ কোহলি, পরবর্তী অধিনায়কের জন্য যে মাথাব্যথা রেখে দিয়ে যাচ্ছো সেটাই তোমার অধিনায়কত্বের বড়ো গুন আমার মতে।”