
আগামী ২৪ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ভারতের প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ের অভিযান নিয়ে তৈরি ‘এইটিথ্রি’ (৮৩) সিনেমা। ২ ঘণ্টা ৩২ মিনিটের গল্পে সিনে পর্দায় ফুটে উঠবে সেই বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের অভিযান থেকে শুরু করে লর্ডসের ব্যালকনিতে কপিলের ট্রফি হাতে তুলে নেওয়ার ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ‘কপিলস ডেভিলস’-এর অন্যতম সদস্য ও এই সিনেমার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলবিন্দর সিং সান্ধু ।







ছবির প্রিমিয়রে জি নিউজ বলবিন্দরের থেকে জানতে চেয়েছিল যে, বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার কপিলের ক্যাপ্টেনসির থেকে কী কী শেখার আছে! ৮৩-র বিশ্বকাপ জয়ী ও দেশের প্রাক্তন জোরে বোলার বলেন, “বিরাট-রোহিত কপিলের মতো ব্যাট করুক, ফিল্ডিং করুক।
কপিলের মতো ক্যাপ্টেনসি করে দেখাক। আগামী বছর টি-২০ বিশ্বকাপ জিতুক ভারত। ২০২৩ সালে ভারতে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ রয়েছে। সেটাও জিতুক ভারত।”
প্রিমিয়রের অনুষ্ঠানে খাস কপিলের থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, ক্রিকেটাররা বিতর্কের সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করবেন? দেশের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক বলেন, “আমাদের সময় সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না।







এখন আছে। বিতর্ক ক্রীড়াব্যক্তিত্বদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাই খেলায় মনোনিবেশ করে এগিয়ে যেতে হবে। এরকম মানুষ থাকবেই যারা গল্প বানাবে। গল্পকাররা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এরপর আমরা আমাদের গল্প লিখি আর এগিয়ে যাই। গল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেভাবে আমাদের দল একটা গল্প বলেছে, সেই স্মৃতিই পর্দায় দেখানো হচ্ছে। বিতর্ক নিয়ে ভয় পাওয়া উচিত নয়, যে যা পারে লিখুক। একটা বিষয়ে বদ্ধপরিকর হতে হবে যে, আরও অনেক উচ্চতায় যেতে হবে।”
কপিলের দল আর এখনকার দলের ফারাকের প্রসঙ্গে কীর্তি আজাদ বলছেন, “আমাদের সময় একজনই ম্য়ানেজার ছিলেন। ৪০ জন সাপোর্ট স্টাফ থাকতেন না সঙ্গে।







ভিডিও বা অ্যানালিস্ট কিছুই ছিল না। সিনিয়রদের কথা শুনেছি শুধু। তাঁরা বলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্লেয়াররা দারুণ। আমরা যেন সেই বুঝেই কাজ করি। এই একটা ছোট্ট তথ্যই ছিল তখন। এখন তো এও জানা যায় যে, কার পা কোন দিকে নড়ছে।”
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টেস্ট ও সমসংখ্যক ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে ভারত। বিরাট কোহলি সামলাবেন টেস্ট দলের দায়িত্ব।
রোহিতের কাঁধে ওয়ানডে ক্যাপ্টেনসির গুরুভার। এখন দেখার বলবিন্দরের কথা ধরে কোহলি-রোহিত দক্ষিণ আফ্রিকায় কপিল হয়ে উঠতে পারেন কিনা!







Leave a Reply