কিং কোহলির দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন দেখল কেপ টাউন। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে একা বাঘের মতো লড়লেন ভারত অধিনায়ক। কিন্তু কোহলির একার লড়াইই সার।
উলটো দিক থেকে যোগ্য সংগত পেলেন না তিনি। নিজের ৯৯তম টেস্টে কেরিয়ারের ৭১ তম শতরানও অধরা থেকে গেল বিরাটের। যার ফলশ্রুতিতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করেও আড়াইশো পেরল না টিম ইন্ডিয়া।
ম্যাচ জিতলে ইতিহাসের খাতায় নাম লেখাবে দল। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবার সিরিজ জেতার অনবদ্য সাফল্যের তাজ উঠবে দলের মাথায়।
এই সুবর্ণ সুযোগ সামনে রেখে এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক কোহলি। চোটগ্রস্ত সিরাজের বদলে এই ম্যাচে দলে এসেছেন উমেশ যাদব। কোহলি নিজে দলে এসেছেন হনুমা বিহারীর বদলে।
টস জিতে ভারতের হয়তো প্রত্যাশা ছিল প্রথম ইনিংসে বড় স্কোর খাড়া করে প্রোটিয়াদের চাপে ফেলে দেওয়া। কিন্তু দলের ব্যাটাররা আবারও নিরাশ করল টিম ম্যানেজমেন্টকে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৩ রানের মধ্যেই ফিরে গেলেন দলের দুই ওপেনার। এরপর অভিজ্ঞ পূজারা এবং অধিনায়ক বিরাট ইনিংসর হাল ধরেন।
দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার ভাল জুটিও বেঁধেছিলেন। কিন্তু ৯৫ রানের মাথায় পূজারা আউট হতেই ভারতীয় ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার পালা শুরু হয়। রাহানে আউট হন মাত্র ৯ রান করে। পন্থ (২৭) কিছুটা প্রতিরোধ করলেও নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে উইকেট খোয়াতে থাকে ভারত।
উলটোদিকে অধিনায়ক কোহলি বীর বিক্রমে লড়াইটা চালিয়ে যান। সংযম বজায় রেখে ১৫৮ টি বলে অর্ধশতরান করেন তিনি। ততক্ষণে ৫ উইকেট চলে গিয়েছে দলের। অর্ধশতরানের পরও দুর্দান্ত খেলছিলেন ভারত অধিনায়ক। কিন্তু ক্রমেই নিঃসঙ্গ হতে থাকেন তিনি।
একে একে অশ্বিন, ঠাকুর, বুমরাহরা প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। শেষদিকে কার্যত একাই দু’দিক সামলাতে হচ্ছিল বিরাটকে। শেষপর্যন্ত ব্যক্তিগত ৭৯ রানের মাথায় রাবাদার বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। ভারতের ইনিংস শেষ হয় ২২৩ রানে।