বিরাট কোহলির কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরা। খেলার মাঝ পথেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন দলের তারকা পেসার। বক্সিং-ডে টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা চলছিল সেঞ্চুরিয়নে। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস চলাকালীন বুমরা চোট পান।
তাঁর তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে পঞ্চম ডেলিভারিতেই বিপত্তি ঘটান বুমরা। ফলো-থ্রুতে বুমরার ডান গোড়ালি ঘুরে যায়। যন্ত্রণায় কাতরে ওঠেন বুমরা। ব্যথায় সঙ্গে সঙ্গে মাঠে বসে পড়েন তিনি।
ভারতীয় দলের ফিজিও নীতীন প্যাটেল মাঠে ছুটে আসেন বুমরার দেখভাল করতে। মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বুমরা খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়েন। তাঁর পরিবর্তে শ্রেয়স আইয়ার ফিল্ডিং করেন মাঠে।
তবে বুমরা খেলায় ফিরে আসেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ৬০ নম্বর ওভারে। তখন কাগিসো রাবাদা ও কেশব মহারাজ ছিলেন ক্রিজে। বুমরার প্রত্যাবর্তনে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন ক্যাপ্টেন কোহলি।
স্টাম্প মাইকে শোনা যায় যে, কোহলি বলেন, (অবশেষে রক ফিরে এসেছে)। এই কথা শুনে ক্রিকেট ফ্যানরাও নিজেদের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। ডব্লিউডব্লিউই মহাতারকা ডোয়েন ‘দ্য রক’ জনসন ২০১১ সালে ৮ বছর পর রিংয়ে ফিরে এসেছিলেন।
তখন রিংয়ে উঠে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে ‘দ্য রক’ বলেছিলেন “ফাইনালি দ্য রক হ্যাজ কাম ব্যাক।” এই উদ্ধৃতি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল। কোহলি বুমরার মাঠে ফেরাতেও সেই সংলাপই ব্যবহার করলেন।
বুমরার প্রসঙ্গে বিসিসিআই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল যে, তাঁর ডান গোড়ালিতে টান ধরেছে এবং মেডিক্যাল টিমের তত্ত্বাবধানে আছেন ভারতীয় জোরে বোলার। বুমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবার টেস্ট খেলছেন।
রামধনু দেশের ব্যাটারদের শুধু নাস্তানাবুদই করেননি তিনি। পেয়ে যান রক্তের স্বাদও। চোটের আগে প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন ডিন এলগারকেও আউট করেন তিনি। এরপর মাঠে ফিরে তুলে নেন কেশব মহারাজের উইকেটও।