
বিগত কয়েকদিনের মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেটের অবশ্যম্ভাবী পরিবর্তন ঘটেছে। যে পরিবর্তন আনতে যে কোন দলের জন্য কয়েক বছর সময় লেগে যায় ভারতীয় দলে সেই যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটেছে মাত্র চার মাসে।







ভারতীয় কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি ক্রিকেটের সমস্ত ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে টেস্ট ক্রিকেটেও অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন কিংবদন্তি কোহলি।এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলীর দিকে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে।
তাই এবার সৌরভ গাঙ্গুলীকে নিয়েও জোর জল্পনা উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিরাট কোহলির পর এবার বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরানো হতে পারে সৌরভ গাঙ্গুলীকে।
এমনিতেই ২০২২ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে সৌরভ গাঙ্গুলীর মেয়াদ উত্তীর্ণ হতে চলেছে। তিনি ২০১৯ সালে তিন বছর মেয়াদী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।
শোনা যাচ্ছে, সৌরভ গাঙ্গুলীর সাথে সরানো হতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় সাহাকেও। উল্লেখ্য, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে সৌরভ গাঙ্গুলী ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমীর প্রধান হিসেবে কাজ করেছিলেন।







তার আগে তিনি বাংলা ক্রিকেট একাডেমীর প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা এবং কার্যনীতি দেখে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত করা হয় তাকে। তার স্থানে ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমীর প্রধান হন রাহুল দ্রাবিড়।
সৌরভ গাঙ্গুলীর আমলে ভারতীয় ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক দ্বিপাক্ষিক সিরিজে উল্লেখযোগ্য ভাবে সাফল্য পেয়েছে। সৌরভ গাঙ্গুলীর দূরদর্শিতার জন্য রাহুল দ্রাবিড়কে ভারতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
তার আরেক সতীর্থ ভিভিএস লক্ষ্মণ বর্তমানে ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমীর প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এখন ভারতীয় ক্রিকেট দলের মধ্যে অন্ত দ্বন্দ্ব শুরু হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, সৌরভ গাঙ্গুলীর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর নতুন ভাবে আবার তিনি দায়িত্ব পাবেন নাকি পরিবর্তনের ছোঁয়া সেখানেও লাগবে?







Leave a Reply