
ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ভারতকে লড়াইয়ে ফেরালেন শার্দুল ঠাকুর। নিজের ষষ্ঠ টেস্ট খেলতে নেমে পেলেন প্রথম ফাইফারের দেখা। জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে ডানহাতি এই পেসার একাই ৭ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ইনিংসে ২২৯ রানে গুটিয়ে দিয়েছেন।







ভারত প্রথম ইনিংসে থেমেছিল মাত্র ২০২ রানে। ম্যাচে ফেরার জন্য বোলারদের দিকেই তাকিয়ে ছিলো সফরকারিরা। সেই বোলাররাই লড়াইয়ে ফিরিয়েছেন দলকে। দক্ষিণ আফ্রিকার লিড ২৭ রানের বেশি হতে দেননি শার্দুল-শামিরা।
১ উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সকালটা দারুণ কাটিয়েছিলেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার ডিন এলগার আর কিগান পিটারসেন।
দ্বিতীয় উইকেটে ২১১ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়েন তারা। তারপরই দৃশ্যপটে আগমন শার্দুল ঠাকুরের। এলগারকে (২৮) উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে জুটি ভাঙেন ভারতীয় পেসার।
অল্প সময়ের ব্যবধানে আরেক সেট ব্যাটার পিটারসেন (৬২) আর মিডল অর্ডারের ভরসা রসি ভ্যান ডার ডাসেনকেও (১) সাজঘরের পথ দেখান শার্দুল। ১০২ রানে ৪ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
পঞ্চম উইকেটে টেম্বা বাভুমা আর কাইল ভেরেন ৬০ রানের আরেকটি জুটিতে ম্যাচে ফেরান স্বাগতিকদের। ভেরেনকে (২১) এলবিডব্লিউ করে ফের ধাক্কা দেন শার্দুল।







টেম্বা বাভুমা দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন। তবে শার্দুলের পঞ্চম শিকার হিসেবে নাম উঠে তারই। ৫১ রানের ইনিংস খেলে শার্দুলের দারুণ ডেলিভারিতে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন বাভুমা।
কাগিসো রাবাদাকে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ শামি। ৭ উইকেটে তখন ১৭৯ রান প্রোটিয়াদের, লিড নেওয়াও কঠিন হবে মনে হচ্ছিল।
তবে অষ্টম উইকেটে কেশভ মহারাজ আর মার্কো জানসেন ৩৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ একটি জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে এগিয়ে দেন। তবে লিডটা তত বড় হয়নি। মহারাজকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন জাসপ্রিত বুমরাহ।
এরপর শেষ ২ উইকেট শার্দুলেরই পকেটে গেছে। জানসেন তার দারুণ এক ডেলিভারি বুঝতে না পেরে বল ওপরে তুলে দেন। দৌড়ে এসে ক্যাচ নেন অশ্বিন। ওই ওভারেই তিন বল পর শেষ ব্যাটার লুঙ্গি এনগিদি উইকেটের পেছনে ক্যাচ হন।
৬১ রান খরচায় ৭টি উইকেট নেন শার্দুল। এটিই তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। এর আগে সেরা বোলিং ছিল ৬১ রানে ৪ উইকেট। গত বছরের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্রিসবেন টেস্টে ওই বোলিং ফিগার ছিল তার।







Leave a Reply