অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতে মারাত্মক বোলিং করছিলেন ভারতের ফাস্ট বোলার মহম্মদ শামি। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে তিনি ৬ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। এই সময়ে মহম্মদ শামি দুটি মেডেন ওভার করেছিলেন।
তিনি তাঁর জালে ফেলে জোশ ইঙ্গলিস (২৬), ক্যামেরন গ্রিন (১২) এবং মার্কাস স্টোইনিসের (৫) মতো খেলোয়াড়দের আউট করেছিলেন। এ ভাবেই অস্ট্রেলিয়ার অবস্থানকে শোচনীয় করে তুলেছিলেন মহম্মদ শামি। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস ৩৫.৪ ওভারে ১৮৮ রানে গুটিয়ে যায়। একই সময়ে, ভারত ৩৯.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান করে ম্যাচ জিতে নেয়।
ভারতের জয়ের পর আত্মবিশ্বাসের ভিন্ন মাত্রা দেখা গেল মহম্মদ শামির মধ্যে। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়াকে তাদের ঘরে গিয়ে হারিয়েছিলাম তাহলে ভারতের মাটিতে তাদের নিয়ে কী ভাবব।
প্রকৃতপক্ষে, শামিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে ওডিআই ক্রিকেট বোলারদের জন্য ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে কারণ বিশ্বজুড়ে ব্যাটসম্যানরা ফ্ল্য়াট পিচের সুবিধা নেয় এবং আক্রমণাত্মক পদ্ধতি অবলম্বন করে।
জবাবে মহম্মদ শামি বলেন, ‘বোলারদের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই আছে। তবে দল হিসেবে আমরা যে কোনও পরিস্থিতিতে থাকব, আমরা সামনের সারিতে আছি। আমরাও এটা করে দেখিয়েছি।
আমরা তাদের ঘরে গিয়ে তাদের হারিয়েছিলাম তাই আমাদের ঘরের মাঠে তাদের নিয়ে ভাবার প্রশ্নই আসে না।’ শামি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম বল থেকে সবকিছু ঠিকঠাক মনে হচ্ছিল। বলটি ভালোভাবে ছাড়ছিল।’
এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলার জন্য কেএল রাহুলের প্রশংসা করেছেন মহম্মদ শামি। তিনি বলেন, ‘রাহুল অতীতেও অনেক ভালো ইনিংস খেলেছে। কখনও কখনও এটি ঘটে যে ভাগ্য আপনার পক্ষে থাকে না বা আপনি যা করতে চান তা সেটা ঠিক হয় না।
রাহুলের উপর অবশ্যই চাপ ছিল কারণ আমরা একের পর এক উইকেট হারিয়েছি, কিন্তু চাপের মধ্যে তিনি রান করেছেন তা দেখে দারুণ লেগেছিল।’ ৯১ বলে অপরাজিত ৭৫ রান করার পর, তিনি ৭ চার এবং ১টি ছক্কা মেরেছিলেন। একটা সময়ে ভারত ৩৯ রানে তাদের চার উইকেট হারিয়েছিল। সেখান থেকে প্রথমে হার্দিক ও পরে রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান এবং ভারতকে জয়ী করে।