
ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রোটিয়াদের দেশে এসেছেন বিরাট কোহলিরা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় গত ২৯ বছরে একটাও টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। সেই টেস্ট সিরিজ জয়ের খরা কাটাতেই এ বার মরিয়া বিরাটব্রিগেড।







শেষবার ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল ২০১৭-১৮। সে বার ভারত ১-২ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হেরে দেশে ফিরেছিল। কিন্তু এ বার আর হার চায় না ভারত। সিরিজ জিতে দেশে ফেরাই লক্ষ্য দ্রাবিড়ের দলের।
১৯৯২-২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট ৩৯ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। যার মধ্যে ১৪টিতে জয় ভারতের, ১৫টিতে জয় দক্ষিণ আফ্রিকার।







এবং দুই দলের মধ্যে ড্র হয়েছে ১০ বার। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ১৯৯২-২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট ২০ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে দুই দল। যার মধ্যে ১০টিতে জিতেছে প্রোটিয়ারা। ভারতের ভাগ্যে মাত্র ৩ ম্যাচে জুটেছিল জয়। এবং ৭টি ম্যাচে ড্র হয়েছিল।
টেস্ট ক্রিকেটের এক ইনিংসে মাত্র ২০২ রান মোটেই বড় স্কোর নয়। কিন্তু ব্যাটিং লাইন আপ ধসে পরলে যদি বোলাররা নিজেদের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নেন, তাহলে নিঃসন্দেহে খেলা জমে যায়। মারক্রামকে আউট করে শুরুতেই প্রোটিয়া দের কড়া চ্যালেঞ্জ দিলেন দিলেন মহম্মদ শামি।







জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে হারের কোনও ইতিহাস নেই ভারতের । চোটে কাবু বিরাট কোহলিও এই মাঠে সেঞ্ছুরি হাঁকিয়েছেন । তার থাকা না থাকা টা ফ্যাক্টর কিনা , সেটা সময় বলবে ।
সোমবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রাহুল । তবে ভারতের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ২০২ রানে। অধিনায়ক রাহুল ও অশ্বিনই যা লড়াই দেন।







তাঁর ৫০ এবং অশ্বিনের ৪৬ রানের দৌলতেই ২০০ গণ্ডি পেরোয় দল। প্রোটিয়া বোলারদের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে বাকিরা কার্যত অসহায় আত্মসমর্পণ করেন। রাবাদা ৩টি, অলিভিয়ের ৩টি এবং মার্কো ৪টি উইকেট তুলে নেন।
তবে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার মারক্রামকে মাত্র ৭ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে প্রোটিয়াদের ভিত নাড়িয়ে দেন শামি। দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন ক্যাপ্টেন এলগার (১১*) ও পিটারসেন (১৪*)। এই টেস্ট কোন দিকে গড়াবে, তা এখনই বলা কঠিন।







Leave a Reply