সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরের বই ‘কোচিং বিয়ন্ড : মাই ডেজ উইথ দ্য ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিম’ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘আমরা কেপটাউনে হেরে গিয়েছিলাম।
২০৮ রান আমরা তাড়া করতে পারিনি। এটা হাস্যকর একটা ব্যাপার। সেকারণেই সেঞ্চুরিয়নে আমরা হেরে গিয়েছিলাম। পরের ম্যাচটাও আমাদের জেতা উচিত ছিল। ২-০ ব্যবধানে আমরা এগিয়ে যেতে পারতাম, নিদেন ১-১ ব্যবধানে সমতা ফেরানোর চেষ্টাও করা হয়েছিল। কিন্তু জোহানেসবার্গে যাওয়ার আগে এই সিরিজে আমরা মাথা নত করে ফেলেছিলাম।’
সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই ম্যাচের প্রথমে আমরা ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলাম। কারণ আমাদের কাছে আর পিছনে ফেরার রাস্তা ছিল না। প্রথম ইনিংসে সামি সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি।
১২ ওভারে ৪৬ রান দিয়েছিলেন। চতুর্থ দিন চা-পানের বিরতি পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল। ২৪১ রান তাড়া করতে নেমে ওরা তখনও পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান করে ফেলেছিল। ‘
চা-পানের বিরতি শেষে মাঠে ফেরেন সামি। ততক্ষণে ডিন এলগার এবং হাসিম আমলার মধ্যে ১১৯ রানের পার্টনারশিপ সবেমাত্র ভেঙেছে। বুমরাহ এক অঙ্কের রানে ডি ভিলিয়ার্সকেও প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে।
তিনি বললেন, ‘সামির আর মাঠে ফেরার কোনও ইচ্ছে ছিল না। কারণ তখন ও সবেমাত্র লাঞ্চ করেছিল। ওর প্লেটের উপর ডাঁই করা ছিল ভাত এবং খাসির মাংসের ঝোল।
আর এই প্লেট দেখেই মহম্মদ সামির উপর বেজায় খেপে গিয়েছিলেন রবি শাস্ত্রী। ও চিৎকার করে বলেছিল, এটা কী! তুমি এখানে ভালো ভালো খাবার খেতে এসেছ? নাকি উইকেট নেওয়ারও কোনও ইচ্ছে রয়েছে।’
সঙ্গে সঙ্গে চটপট জবাব দিয়েছিলেন সামি। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ এখানেও সব খেয়ে নেব, ওখানেও উইকেট শিকার করব।’
তখনও পর্যন্ত সামি ৯ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ১ উইকেট শিকার করেছিলেন। চা-পানের বিরতির পর তিনি মিডল এবং লোয়ার অর্ডারের বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠেন। মাত্র ২৮ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন নেন। শেষপর্যন্ত ভারত ৬৩ রানে জয়লাভ করে।