
সৌরভ মূলত তার দাদার সাহায্যে ক্রিকেট জীবনে প্রতিষ্ঠিত হন। বাঁহাতি ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অদ্যাবধি ভারতের সফলতম টেস্ট অধিনায়ক বলে বিবেচিত হন;







তার অধিনায়কত্বে ভারত ৪৯টি টেস্ট ম্যাচের মধ্যে ২১টি ম্যাচে জয়লাভ করে। ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে তার অধিনায়কত্বেই ভারত ফাইনালে পৌঁছে যায়।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের ভারতীয় সিনেমা জগৎ অর্থাৎ বলিউডের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের এবং বলিউড সুন্দরীদের মধ্যে অ্যাফেয়ারের খবর হামেশাই খবরের শিরোনামে থাকে।







ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে কয়েকজন তো সেই সম্পর্ককে আগে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে পর্যন্ত করে ফেলেছেন। কিন্তু বেশ কিছু খেলোয়াড়ের অ্যাফেয়ারের পর সম্পর্কই শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু খবরের শেষ কখনই হয় না।
১৮ বছর পর রহস্যের উম্মচম করলেন নাগমা, জানালেন সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে ব্রেকআপের কারণ 1
এভাবেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা অধিনায়কের একজন সৌরভ গাঙ্গুলীরও একজন বলিউড অভিনেত্রীর সঙ্গে অ্যাফেয়ার ছিল।
যদিও সৌরভ ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সম্মানীয় ব্যক্তি, যার এই ধরনের ব্যাপারে কখনও নাম জড়ায় নি, কিন্তু নিজের কেরিয়ারের শুরুর দিকে সৌরভের একজন বলিউড সুন্দরীর সঙ্গে অ্যাফেয়ার হয়ে গিয়েছিল।







সৌরভ গাঙ্গুলীর এবং বলিউড সুন্দরীর নাগমার মধ্যে সম্পর্ক ২০০০ সালে বড় চর্চা হত। ওই সময়ের সুন্দরী অভিনেত্রী নাগমার নাম সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে জুড়ে ছিল।
এবং তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে নানা ধরনের কথা শোনা যেত। ওই সময় মনে করা হত সৌরভ এবং নাগমার মধ্যে অ্যাফেয়ার চলছে যা দীর্ঘদিন ধরে চলেছিল।
দুজনের কেউই কখনও তা স্বীকার করেননি১৮ বছর পর রহস্যের উম্মচম করলেন নাগমা, জানালেন সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে ব্রেকআপের কারণ 3
২০০০ সালে সৌরভ নিজের কেরিয়ারের সবচেয়ে দারুণ সময়ের মধ্যে দিয়ে চলছিলেন।
সেই সময় বলিউডে নাগমার জাদু চরমে ছিল। কোনওভাবে সৌরভ এবং নাগমার মধ্যে রিলেশন তো শুরু হয় যা দীর্ঘ সময় ধরে চলেও ছিল, কিন্তু দুজনের কেউই কখনও এ কথা মিডিয়ার সামনে স্বীকার করেন নি।







শেষ পর্যন্ত প্রায় ১৮ বছর পর সৌরভের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখলেন নাগমা। তিনি বলেন, “ যা কিছুই হোক কিন্তু কেউই এই কথা স্বীকার করি নি। যতক্ষন না একে অপরের জীবনে একে অপরের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা না হয়,
ততক্ষন যে কোনও ব্যক্তিই যা খুশি বলতে পারেন। হয়ত মিডিয়ার সামনে আমরা দুজন একে অপরের প্রতি প্রেমের কথা স্বীকার করি নি, কিন্তু এটা সবাই জানত”।
ওই ইন্টারভিউতে নাগমা জানান, “ ২০০০ সালে যখন গাঙ্গুলীর কেরিয়ার শীর্ষে ছিল তখন সমর্থকেরা ভারতীয় দলের হার আর অধিনায়কত্ব সহ্য করতে পারছিল না।







এর প্রভাব ওর সম্পর্কে পড়ে। এই সময় গাঙ্গুলী আমাকে ছেড়ে কেরিয়ারের উপর ফোকাস করা সঠিক মনে করেছিল। আর আমার মতে গাঙ্গুলীর সিদ্ধান্ত একেবারে সঠিক ছিল। কিন্তু ওই সময় সমর্থকদের এমন রিঅ্যাকশন দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম”।
নাগমা গাঙ্গুলী এবং নিজের সম্পর্ক নিয়ে আগে আরও জানান, “ বাস্তবে ভারতে লোকেরা একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবন এবং কর্মজীবন একসঙ্গে জুড়ে দেখে, যা সঠিক নয়।
আমাদের দুজনের সম্পর্কও এরই বলি হয়ে যায়। যদিও আমরা দুজনেই নিজেদের মতামতেই আলাদা হয়েছিলাম”।







Leave a Reply