ঋষভ পন্থকে দুরন্ত স্ট্যাম্পিং করেন কুইন্টন ডিকক। মনে করিয়ে দেন ধোনির ক্ষিপ্রতার কথা। সর্বকালের সেরা ১০ স্ট্যাম্পিং যদি বেছে নেওয়া যায়, তর্কাতীতভাবে সেরা পাঁচটিই থাকবে ধোনির। অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায় স্ট্যাম্পিং করে ধোনি একের পর এক ম্যাচে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন ক্রিকেট বিশ্বে।
তবে এবার ধোনির ক্ষিপ্রতা নিয়েই দুর্দান্ত স্ট্যাম্প আউট করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডিকক। তাও আবার ধোনির উত্তরসূরি যাঁকে বাছা হয়, সেই ঋষভ পন্থকে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ডিকক অন্যতম সেরা তারকা।
ব্যাট হাতে টপ অর্ডারে বিধ্বংসী পারফরম্যান্স মেলে ধরাই হোক বা উইকেটকিপিংয়ে দক্ষতা- তিনি এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
প্ৰথম ওয়ানডেতে পার্লে ব্যাট হাতে সেভাবে জ্বলে উঠতে না পারলেও ডিকক ঋষভ পন্থকে স্ট্যাম্পিং করে নিজের জাত চিনিয়ে দিলেন আরও একবার। জাস্ট সেকেন্ডের ভগ্ন্যাংশে পন্থের পা ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
তার তুখোড় রিফ্লেক্স ক্ষমতার প্রমাণ দিয়ে লেগ স্ট্যাম্পে বল রিসিভ করে আউট করে দেন ডিকক। পন্থকে ফেরানো সেই সময় প্রোটিয়াজদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কোহলি-ধাওয়ান ফিরে যাওয়ার পরে পন্থ একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারতেন লোয়ার অর্ডারে।
২২ বলে ১৬ রানে সেই সময় ব্যাটিং করছিলেন পন্থ। তবে ভারতীয় ইনিংসের সমস্ত সম্ভাবনার ইতি ঘটিয়ে ফেলুকাওয়োর বলে ফিরতে বাধ্য হন পন্থ। ২৯৭ রান তাড়া করতে নেমে ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৬৫-এর বেশি তুলতে পারেনি শেষমেশ।
৩১ রানে ম্যাচ হারে ভারত। প্রোটিয়াজদের হয়ে জোড়া শতরান করে যান অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা এবং ভ্যান ডার ডুসেন। ১২৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভ্যান ডার ডুসেন ম্যাচের সেরা হন।
তিনি পরে জানিয়ে যান, ভারতীয় স্পিনারদের ওপর চাপ বজায় রাখার কৌশল নিয়েছিলেন তিনি। “টানা চাপ ধরে রাখা দরকার ছিল। মাঠে নামার সময়েই ঠিক করে নিই ওদের বোলারদের বিরুদ্ধে সুইপ, রিভার্স সুইপ করে পাল্টা চাপ দেব।
তাছাড়া শুরু থেকে ব্যাটিংয়ের সদিচ্ছা দেখানোও জরুরি ছিল। আমরা পার্টনারশিপে দারুণ মোমেন্টাম পেয়ে স্কোরবোর্ডে ভাল রান খাড়া করি।” “এদিন শুরুতে আমরা কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিলাম।
টেস্টে দুটো হাই প্রেসার ম্যাচ ব্যাটসম্যান হিসেবে আমাদের পরীক্ষা নিয়েছে। সেইজন্য আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। জানতাম দলগতভাবে ভাল খেলতে পারলে এই পিচে ২৮০+ স্কোর তোলা সম্ভব।”
বলে দিয়েছেন ডুসেন। পার্লে প্ৰথম ওয়ানডেতে হেরে যাওয়ার পরে আপাতত সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচেই জিততে হবে টিম ইন্ডিয়াকে। তা কি পারবেন রাহুলরা, সেটাই দেখার।