মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে, ভারতীয় ক্রিকেট দলে একাধিক ক্রিকেটার আত্মপ্রকাশ করেছিল। পরবর্তীকালে তারা বিরাট কোহলির নেতৃত্বে আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিলেন। রোহিত শর্মার ভারতীয় দলে এই ক্রিকেটাররা এখন একা হাতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ম্যাচ উইনারের ভূমিকা পালন করেছেন এই অসাধারণ খেলোয়াড়রা। এই খেলোয়াড়রা ধোনির অধিনায়কত্বে ভাল পারফরম্যান্স করে দলে সুযোগ পেয়েছিল, পরে কোহলির অধিনায়ক থাকার সময় তারা আরও উন্নতি করেছিল এবং বর্তমানে রোহিতের দলের প্রাণভোমরা হয়ে উঠেছেন তারা।
রবীন্দ্র জাদেজা:অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির একজন সতীর্থ ছিলেন। জাদেজা আইপিএলে ও ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করার পর ধোনির অধিনায়কত্বে সিএসকে-এর হয়ে খেলতে শুরু করেছিলেন। ২০০৯ সালে ভারতের হয়ে সীমিত ওভারে অভিষেকের সুযোগ পান ধোনির অধিনায়কত্বেই।
এরপর ২০১২ সালের মধ্যে জাদেজা টেস্টেও জায়গা পেয়েছিলেন। সেই সময় জাদেজাকে দেখলে কেউ বিশ্বাসই করত না যে তিনি বিশ্বস্তরের একজন দুর্দান্ত অলরাউন্ডার হবেন, কিন্তু কোহলির অধিনায়কত্বে গত তিন বছরে জাদেজা তার খেলার অনেক উন্নতি করেছেন। বর্তমানে তিনি বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যে একজন। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং ৩ বিভাগে, ৩ ফরম্যাটে সেরা পারফরম্যান্স করার ক্ষমতা রাখেন তিনি।
মহম্মদ শামি: ২০১২ সালে ধোনির অধিনায়কত্বে ওডিআই অভিষেক হয়েছিল। প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করেছিলেন অসাধারণ বোলিং। তার সীম পজিশন এবং দ্রুত গতি তাকে টেস্ট দলেও জায়গা করে দিয়েছিল। যদিও বিরাটের অধিনায়কত্বে শামির পারফরম্যান্সে আরও উন্নতি ঘটে। এখন রোহিতের দলে তিনিই প্রধান পেসার।
রবিচন্দ্ৰন অশ্বিন:গত এক দশকে ভারতীয় দলের হয়ে, বিশেষত টেস্ট ক্রিকেটে নিজেকে কিংবদন্তির পর্যায়ে তুলে নিয়ে গিয়েছেন। তার পরিসংখ্যানই তার সাফল্যের প্রমাণ। ভারতের সাদা জার্সিতে তিনি ৯২টি ম্যাচ খেলেছেন, যার মধ্যে তিনি ২৪-এর কাছাকাছি গড়ে এখনও অবধি ৪৭৪টি টেস্ট উইকেট নিয়েছেন। ধোনি তাকে প্রথম সুযোগ দিলেও কোহলির নেতৃত্বে বিদেশের মাটিতেও নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছিলেন তিনি। আর বর্তমানে তিনি রোহিতের হাতের তরূপের তাস।
হার্দিক পান্ডিয়া: একসময় ভারতীয় দলে ফিনিশারের ভূমিকা পালন করা হার্দিক পান্ডিয়া আইপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ওডিআই ফরম্যাটেও খেলার সুযোগ করে নিয়েছিলেন, ভারতীয় দল হার্দিক পান্ডিয়ার মতো একজন অলরাউন্ডারের সন্ধানে ছিল দীর্ঘদিন ধরে।
বোলিং এর সাথে সাথে যে খুব ভালো ব্যাটিংও করতে পারতো। ধোনির অধিনায়কত্বে অভিষেক হয় হার্দিক পান্ডিয়ার। প্রাথমিক পর্যায়ে হার্দিককে লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করতে পাঠানো হতো। এরপর কোহলির নেতৃত্বে দলের অন্যতম বড় ভরসা হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
কিন্তু বর্তমানে তার দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে রোহিতের দলে। দুটি ফরম্যাটে তিনি অধিনায়কও হয়েছেন। তিনি আর শুধু পাওয়ার হিটার নন, দলের প্রয়োজনে ইনিংস গড়ার ক্ষমতাও তার হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে দলের প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন বল হাতে মাঝের ওভারে এমনকি ডেথ ওভারেও বোলিং করার ক্ষমতা রাখেন তিনি।