ভারতের ২২৩ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ২১০ রানে অল-আউট হয়। সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে জয়ের পর ভারতের সামনে সুযোগ ছিল জোহানেসবার্গেই সিরিজ পকেটে পুরে ইতিহাস গড়ার।
তবে ওয়ান্ডারার্সে টিম ইন্ডিয়া হেরে বসায় সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায় দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাভাবিকভাবেই কেপ টাউনের তৃতীয় টেস্ট নির্ণায়ক রূপ নিয়েছে।
নিউল্যান্ডসে জয় তুলে নিয়ে সিরিজের দখল নেওয়ার হাতছানি রয়েছে উভয় দলের সামনেই। তবে ভারত যেহেতু কখনও দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ জেতেনি, তাই তাদের সামনে হাতছানি রয়েছে কেপ টাউনে নতুন অধ্যায় রচনার।
জোহানেসবার্গ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে পূজারা-রাহানের হাফ-সেঞ্চুরিতে ভর করে ভারত লড়াইয়ের রসদ সংগ্রহ করেছিলে বটে, তবে দক্ষিণ আফ্রিকা কার্যত অনায়াসে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
দ্বিতীয় টেস্টের হার থেকে শিক্ষা নিয়ে কেপ টাউনে দলকে দ্বিতীয় ইনিংসে নিরাপদ লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়াই এখন চ্যালেঞ্জ পূজারাদের সামনে।
কেপ টাউন টেস্টের তৃতীয় দিনে দুর্দান্ত এক ব্যক্তিগত মাইলস্টোন টপকে যেতে পারেন বিরাট কোহলি। তার জন্য ভারত অধিনায়কের দরকার মাত্র ৫৩ রান। ৯৯টি টেস্টের ১৬৮তম ইনিংসে এই মুহূর্তে বিরাটের খাতায় রয়েছে ৭৯৪৭ রান।
সুতরাং আরও ৫৩ রান সংগ্রহ করলে কোহলি ছুঁয়ে ফেলবেন ৮০০০ টেস্ট রানের মাইল ফলক। তাই যদি হয়, তবে ষষ্ঠ ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এমন দুর্দান্ত নজির গড়বেন কোহলি।
তাঁর আগে ভারতের হয়ে টেস্টে ৮০০০-এর বেশি রান সংগ্রহ করেছেন সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, সুনীল গাভাসকর, ভিভিএস লক্ষ্মণ ও বীরেন্দ্র সেহওয়াগ।
ভারতের ২২৩ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় দিনে তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় ২১০ রানে। প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১৩ রানে এগিয়ে থাকা টিম ইন্ডিয়া দ্বিতীয় দিনের শেষে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তুলেছে।
সুতরাং, প্রথম ইনিংসের লিড মিলিয়ে ভারত এগিয়ে ৭০ রানে। বিরাট কোহলি ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৯ বলে ১৪ রান করেছেন। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩১ বলে ৯ রান করে অপরাজিত রয়েছেন চেতেশ্বর পূজারা।
ভারত টেস্টের প্রথম দিনেই তাদের প্রথম ইনিংসে ২২৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম দিনের শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ১৭ রান তোলে। সুতরাং, প্রথম জিনের খেলার শেষে ভারতের থেকে ২০৬ রানে পিছিয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।