
তিনি ২০১০ গ্রীষ্মে ইংল্যান্ড সফরকারী ভারত এ দলে ছিলেন এবং এই সফরের সর্বোচ্চ রান করেন। ২০১১ সালের অক্টোবরে বিসিসিআই তাঁকে ডি গ্রেড জাতীয় চুক্তিতে নিযুক্ত করে। তিনি শীঘ্রই লম্বা ইনিংস খেলার কৌশল এবং স্বভাবের জন্য পরিচিত হতে থাকেন,







তাঁর ফল সরূপ রাহুল দ্রাবিড় এবং ভিভিএস লক্ষ্মণের অবসরের পর ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারে জায়গা পাওয়ার যোগ্য হিসাবে অন্যতম দাবিদার হন
আগস্ট ২০১২ সালে, তিনি তাঁর টেস্ট প্রত্যাবর্তনে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন এবং নভেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আহমেদাবাদে তাঁর প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন।
তাঁর দুই নম্বর ডাবল সেঞ্চুরির জন্য বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি, ২০১৩ সালের মার্চ মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনি আরও একটি ডাবল সেঞ্চুরি করেন এবং দুবারই তাঁর হাত ধরে ভারত জয় পায় এবং তিনি ম্যান অফ দ্য ম্যাচের শিরোপা পান।
এই সময়ে দল থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কায় ভুগছিলেন ভারতীয় দলের দুই তারকা ব্যাটার অজিঙ্কা রাহানে ও চেতেশ্বর পূজারা। কিন্তু এই দুই ক্রিকেটারই







সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতরান করে নিজেদের জায়গা বাঁচানোর ব্যবস্থা করেছেন। তারই মধ্যে নিজের ফর্ম নিয়ে বড় বক্তব্য রেখেছেন চেতেশ্বর পূজারা।
চেতেশ্বর পূজারা পুরানো প্রবাদে খুব বেশি বিশ্বাস করেন যে ‘ফর্ম ইজ টেম্পোরারি বাট ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট’। তিনি বলেছেন এই প্রবাদটি তার এবং
অজিঙ্কা রাহানের জন্য পুরোপুরি সার্থক কারণ তাদের উভয়ের অর্ধশতক ভারতকে দ্বিতীয় টেস্টে ম্যাচে লড়াই বজায় রাখতে সাহায্য করেছিল। পূজারা ও রাহানের অর্ধশতরান এবং দুজনের মধ্যে ১১১ রানের জুটি ভারতকে জয়ের জন্য ঝাঁপানোর একটা সুযোগ দেয়।







কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার পূজারকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে দ্বিতীয় ইনিংসটি তাদের শেষ সুযোগ হতে পারে বলে তিনি এবং রাহানে চাপ অনুভব করছেন কিনা।
এই প্রশ্নের জবাবে পূজারা দিনের খেলা শেষে ইতিবাচক জবাব দিয়ে বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, এমন সময় আছে যখন আপনি খারাপ ফর্মের মধ্য দিয়ে যাবেন এবং
তার ফলে আপনাকে নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কিন্তু আমরা আত্মবিশ্বাসী খেলোয়াড়। আমি এবং রাহানে, আমরা জানি আমরা আমাদের খেলার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি।’







ভারতীয় দল বর্তমানে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ফলে এগিয়ে রয়েছে। সেঞ্চুরিয়ান টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৩ রানে হারিয়েছে ভারত। ইতিহাসে এই প্রথম কোনো এশিয়ান দল সেঞ্চুরিয়নে আফ্রিকান দলের বিপক্ষে জয় পেয়েছে।
এখন দলের চোখ থাকবে আফ্রিকাকে হারিয়ে সিরিজ জয়ের দিকে। আজ পর্যন্ত ভারত আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি। তবে জোহানেসবার্গে ভারতের জয়ের আশা কম।







Leave a Reply