
চেতেশ্বর অরবিন্দ পুজারা জন্ম: ২৫ জানুয়ারি, ১৯৮৮) গুজরাটের রাজকোটে জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে ভারত দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন।







ডিসেম্বর, ২০০৫ তারিখে ঘরোয়া ক্রিকেটে সৌরাষ্ট্রর পক্ষে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ ঘটিয়েছেন এবং ৯ অক্টোবর, ২০১০ তারিখে ব্যাঙ্গালোরে অনুষ্ঠিত টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে অভিষিক্ত হন।
তিনি ২০১০ গ্রীষ্মে ইংল্যান্ড সফরকারী ভারত এ দলে ছিলেন এবং এই সফরের সর্বোচ্চ রান করেন। ২০১১ সালের অক্টোবরে বিসিসিআই তাঁকে ডি গ্রেড জাতীয় চুক্তিতে নিযুক্ত করে।
তিনি শীঘ্রই লম্বা ইনিংস খেলার কৌশল এবং স্বভাবের জন্য পরিচিত হতে থাকেন, তাঁর ফল সরূপ রাহুল দ্রাবিড় এবং ভিভিএস লক্ষ্মণের অবসরের পর ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারে জায়গা পাওয়ার যোগ্য হিসাবে অন্যতম দাবিদার হন।[২]
আগস্ট ২০১২ সালে, তিনি তাঁর টেস্ট প্রত্যাবর্তনে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন এবং নভেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আহমেদাবাদে তাঁর প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন।







তাঁর দুই নম্বর ডাবল সেঞ্চুরির জন্য বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি, ২০১৩ সালের মার্চ মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনি আরও একটি ডাবল সেঞ্চুরি করেন এবং দুবারই তাঁর হাত ধরে ভারত জয় পায় এবং তিনি ম্যান অফ দ্য ম্যাচের শিরোপা পান।[৪]
২০১২ সালে এনকেপি সালভ চ্যালেঞ্জার ট্রফিতে তিনি দুটি সেঞ্চুরি এবং একটি অর্ধশতক করে সর্বোচ্চ রান করেন। তিনি মাত্র ১১ টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচে এবং ১৮ তম টেস্ট ইনিংসে ১০০০ রান করেন তাঁর ফলে তিনি দ্রুততম ১০০০ রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একজন হন। তিনি ২০১৩ সালে উদীয়মান ক্রিকেটার পুরস্কার লাভ করেন।[৫]
ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সালে, বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন, তিনি একটি ভারতীয় প্রথম-শ্রেণির মরসুমে ব্যাটসম্যানের দ্বারা সর্বাধিক রান করার একটি নতুন রেকর্ড গড়েন, তিনি ১,৬০৫ রান করেন।
পূর্বের রেকর্ডটি ছিল চান্দু বোর্দের, তিনি ১৯৬৪-৬৫ মরসুমে ১,৬০৪ রান করেছিলেন।[৬] নভেম্বরে ২০১৩ সালে, তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্বাদশ ডাবল সেঞ্চুরি করার সাথে সাথে, তিনি ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসাবে সর্বাধিক ডাবল সেঞ্চুরি করা বিজয় মার্চেন্টের রেকর্ডটি ভেঙে নতুন একটি রেকর্ড করেন।







পিঠের চোটের জন্য জোহানেসবার্গ টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি বিরাট কোহলি। তাঁর পরিবর্তে ওয়ান্ডারার্সে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিতে নামেন লোকেশ রাহুল।
কোহলির দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার কারণ জানানো হয়েছিল বিসিসিআইয়ের তরফে। যদিও পরবর্তী সময়ে তাঁর চোট নিয়ে আর কোনও আপডেট দেওয়া হয়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে।
অবশেষে চেতেশ্বর পূজারা গুরুত্বপূর্ণ আপডেট দিলেন কোহলির ফিটনেস নিয়ে। পূজারার কথায় আশ্বস্ত হতে পারেন ভারতীয় সমর্থকরা।
তৃতীয় দিনের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে পূজারা জানান, বিরাট কোহলি সুস্থ হয়ে উঠছেন। তিনি তাড়াতাড়িই ম্যাচ ফিট হয়ে উঠবেন। চেতেশ্বর বলেন, ‘বিরাটের চোট সেরে উঠছে।







আমার মনে হয় ও খুব তাড়াতাড়িই ফিট হয়ে যাবে।’ পূজারার ইঙ্গিত স্পষ্ট, অঘটন না ঘটলে কেপ টাউনের তৃতীয় টেস্টে কোহলির মাঠে নামতে অসুবিধা হবে না।
জোহানেসবার্গ টেস্টের এখনও দু’দিনের খেলা বাকি। কেপ টাউনে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টেস্ট খেলা হবে ১১ জানুয়ারি থেকে। সুতরাং, হাতে এখনও দিন পাঁচেক সময় রয়েছে কোহলির ম্যাচ ফিট হয়ে ওঠার জন্য।
যদিও ইতিমধ্যেই বিরাটকে ব্যাট হাতে নিতে দেখা গিয়েছে। কোচ দ্রাবিড়ের থ্রো-ডাউনে কোহলিকে অনুশীলন সারতে দেখা গিয়েছে জোহানেসবার্গে।







Leave a Reply