
ক্রিকেট মাঠে দীর্ঘসময় কাটানোর পর খেলোয়াড়দের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব হয়ে ওঠে। যে কারণে ক্রিকেটকে জেনটেলমেন’স গেমও বলা হয়। তবে কখনো কখনো গভীর বন্ধুত্বের পরও সম্পর্কে অনেক দূরত্ব তৈরি হয়।







ভারতীয় ক্রিকেটের কথা বললে এমন তিনটি বন্ধুত্বের গল্প রয়েছে যা পরবর্তীকালে শত্রুতার রূপ নিয়েছে। এরপর সেই সম্পর্ক নিয়ে মিডিয়ায় নানাভাবে তুমুল সমালোচনা করা হয়।
১) দীনেশ কার্তিক ও মুরলী বিজয়:
দীনেশ কার্তিক ও মুরলী বিজয় উভয়ের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল তামিলনাড়ুর ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে। এরপর দুজনের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আইপিএল শুরুর আগে পর্যন্ত এই সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল। দীনেশ কার্তিক বিজয়কে তার স্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। এরপরই বিজয় ও দীনেশ কার্তিকের স্ত্রীর সাথে সম্পর্কের সূত্রপাত ঘটে।
কিছুদিন পর সেই খবর দীনেশ কার্তিক জানতে পেরে তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দেন। সেই সাথে মুরলী বিজয়ের সাথে বন্ধুত্বের ইতি টানেন তিনি। ডিভোর্স এর সঙ্গে সঙ্গেই নিকিতাকে বিয়ে করেন মুরলী বিজয়। এই ঘটনার পর বহু বছরের বন্ধুত্বের সম্পর্ক শত্রুতায় রূপ নেয়। বর্তমানে এই দুই খেলোয়াড় একে অপরের মুখ দেখতেও পছন্দ করে না।
২) যুবরাজ সিং ও মহেন্দ্র সিং ধোনি:







6 দিনের মধ্যে রক্তনালী 18 বছর বয়সের মতো হবে!
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এটি করুন
आगे पढ़े!
এক সেকেন্ডে রক্তনালীগুলি পরিষ্কার করুন, চাপটি স্বাভাবিক হবে! উচ্চ রক্তচাপ কারা পায় তা পড়ুন.
সাবধান হও
যুবরাজ ও ধোনির বন্ধুত্ব সকলেরই জানা। ধোনি দলে আসার পর এই জুটি মিডল অর্ডারে একসঙ্গে ভারতীয় দলকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। যে কারণে তাদের বন্ধুত্ব আরও গভীর হয়। ২০১১ বিশ্বকাপেও সেই বন্ধুত্বের ছবি ধরা পড়ে। কিন্তু ২০১৫ বিশ্বকাপের পর এই সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
যুবরাজ সিংকে দলের বাইরে রাখার পেছনে অধিনায়ক ধোনিকেই বারবার দায়ী করা হয়েছে। ধীরে ধীরে এই সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়ে যায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনা হয়। এমনকি যুবরাজের বাবা ধোনিকে গালিগালাজ পর্যন্ত করেছিলেন। অবসরের পর যুবরাজও বলেছিলেন ধোনি তার খারাপ সময় পাশে থাকেনি। বর্তমানে তাদের দুজনকে একে অপরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতেও দেখা যায় না।
৩) বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীর:







বিরাট কোহলি যখন প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন সেই মুহূর্তটি কোনদিন ভুলতে পারবেন না। কারণ ওই ম্যাচে গৌতম গম্ভীরও ১৫০ রানের একটি দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর গম্ভীরকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হলে তিনি সবার সামনে তার জুনিয়র কোহলির হাতে উপহারটি তুলে দেন। যদিও তাদের মধ্যে খুব একটা বন্ধুত্ব ছিল না, কিন্তু একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ছিল।
কিন্তু এক মুহূর্তে সব শেষ হয়ে যায় একটি আইপিএল ম্যাচের পর। যখন এই দুই খেলোয়াড় হাজার হাজার দর্শকের মাঝে একে অপরের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সেই ম্যাচে যখন বিরাট কোহলি আউট হওয়ার পর গালিগালাজ করছিলেন, তখন এই গালি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গম্ভীর। সবটাই ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এই ঘটনার দুই খেলোয়াড়ের সম্পর্ক আর স্বাভাবিক হয়নি। মাঝেমধ্যে গম্ভীর কোহলির সম্পর্কে তীব্র সমালোচনা করতে দেখা যায়।







Leave a Reply