ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হারের কারণ ব্যাখ্যা করলেন অধিনায়ক কেএল রাহুল

পিঠের চোটের জন্য জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্সের দ্বিতীয় টেস্ট থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন বিরাট কোহলি । তাঁর জায়গায় এই টেস্টে অধিনায়কত্ব করছেন দলের ভাইস-ক্যাপ্টেন কেএল রাহুল।

কণ্নুর লোকেশ রাহুল কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণকারী ভারতের উদীয়মান ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে কর্ণাটকের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন

জো’বার্গ টেস্টে ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সমতায় ফিরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচের পর রাহুল বললেন কেন ভারতকে হারতে হল দ্বিতীয় টেস্ট?

রাহুল বলেন, “প্রতিটি টেস্ট ম্যাচ আমরা এটা ভেবেই খেলি যে, আমরা জিতবই, আমাদের জিততে হবে। সেরকমই একটা দল আমাদের। আমরা মাঠে কঠিন প্রতিপক্ষ।

হেরে গিয়ে কিছুটা হলেও হতাশ লাগছে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকাকে কৃতিত্ব জানাতে চাই, ওরা যেভাবে খেলেছে। ব্যাট-বল দুই ভাল করেছে। আমরা মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছি।

আমরা সবাই ভেবেছিলাম আমরা বিশেষ কিছু করতে পারি। ১২২ করাটা সহজ হবে না। পিচে ওঠা-নামা লেগে ছিল। কিন্তু আমি যা বললাম দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা ধরেই নিয়েছিল যে, তারা কাজটা করেই ফেলবে। কঠোর ভাবে বলতে গেলে আমরা ৬০-৭০ রান যোগ করতে পারতাম আরও।”

শার্দূল ঠাকুর জো’বার্গে দ্বিতীয় টেস্টে সমালোচকদের মুখ একেবারে বন্ধ করে দিয়েছেন। ওয়ান্ডারার্সে তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে মোহিত বাইশ গজ।

বল হাতে রেকর্ড তৈরি করা পরিসংখ্যান (৭/৬১) স্পর্শ করার পর ব্যাট হাতেও (২৮ রানের ক্য়ামিও ইনিংস) জ্বলে উঠেছেন তিনি। রাহুল প্রশংসা করলেন শার্দূলের। তিনি বলেন, “শার্দূলের জন্য দারুণ একটা টেস্ট।

ও যে কয়েকটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে, নিজের প্রভাব ফেলে আমাদের ম্যাচ জিতিয়েছে। ব্যাট হাতেও ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান করছে। দল হিসাবে পরের টেস্টে আমাদের পারফরম্যান্স করে জিততে হবে।”

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়তে ভারতকে অপেক্ষা করতে হবে আরও একটি টেস্ট ম্যাচের জন্য। জোহানেসবার্গের ভারতকে ইতিহাস লিখতে দিলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাপ্টেন ডিল এলগার।

৯৬ রানের অধিনায়কোচিত অপরাজিত ইনিংস খেলে ভারতের জয়ের আশায় জল ঢেলে দিলেন প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন একাই। আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে কেপটাউনে শুরু সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টেস্ট।

এই টেস্ট ভারতকে জিততেই হবে। তবেই লেখা সম্ভব ইতিহাস। নাহলে দক্ষিণ আফ্রিকা সেই বধ্যভূমি হয়েই থেকে যাবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*