ম্যাচ হারলেও এই অবহেলিত ক্রিকেটারকে মনে রাখবে পুরো ক্রিকেটবিশ্ব

ওয়ানডে সিরিজ আগেই হাতছাড়া হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে তাই রবিবাসরীয় ম্যাচ ছিল নেহাতই নিয়মরক্ষার। কিন্তু ভারতের জন্য তৃতীয় ম্যাচে জয়টা ছিল অত্যন্ত দরকারি। প্রোটিয়া বাহিনীর কাছে চুনকাম হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে এই লড়াই ছিল সম্মানরক্ষার।

কিন্তু সেখানেও ভারতের খাতায় লেখা রইল শুধুই ব্যর্থতা। আরও একবার হোম ফেভারিটদের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ল ভারত। জলে গেল দীপক চাহারের দাঁতে দাঁত চাপা লড়াইও। ৩-০ হোয়াইটওয়াশ করেই টিম ইন্ডিয়াকে লজ্জিত করলেন বাভুমারা।

রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও ভেঙ্কটেশ আইয়ারের পরিবর্তে এদিন দলে জায়গা পেয়েছিলেন চাহার ও প্রসিদ্ধ। হাত ঘুরিয়ে যেমন জোড়া উইকেট তুলে নিয়েছিলেন, তেমনই ভারতীয় মিডল অর্ডার ব্যাটাররা একের পর এক ব্যর্থ হওয়ায় দলের হাল ধরেছিলেন চাহার (৫৪)।

কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারলেন না তিনিও। পরপর উইকেট খুইয়ে প্রায় জিতে যাওয়া ম্যাচে পরাস্ত হল রাহুল অ্যান্ড কোং। কেপ টাউনে হারের হতাশাতেই যেন বিবর্ণ হয়ে গেল ধাওয়ানের মারকাটারি ৬১ রানের ইনিংস, হাফসেঞ্চুরি করে বিরাট কোহলির বেবি সেলিব্রেশন কিংবা প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার তিনটি উইকেট তুলে নেওয়ার কৃতিত্বও।

এই সিরিজে যেন রোহিত শর্মাকে একটু বেশিই মিস করলেন ভারতের সমর্থকরা। তাঁর অনুপস্থিতিতে টিম ইন্ডিয়ার দায়িত্ব সামলানো যে কেএল রাহুলের পক্ষে সম্ভব নয়, সেটাই যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই সিরিজ।

অলরাউন্ডার ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে দলে নিয়ে প্রথম ওয়ানডে-তে বল না করানোয় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল রাহুলকে। আর এদিন প্রোটিয়া ব্যাটিং অর্ডারকে ধাক্কা দিতে শ্রেয়স আইয়ারকে বল করতে পাঠালেন তিনি! যে সিদ্ধান্ত অবাক করেছে অনেককেই।

তবে দক্ষিণ আফ্রিকা যে আত্মবিশ্বাসী, তা কুইন্টন ডি ককের চোখ ধাঁধানো ১২৪ রানের ইনিংসই বলে দিচ্ছে। ১-২ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে হার, ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ। দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতের সময়টা একদমই ভাল গেল না।

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৮৭/১০ (ডি কক-১২৪, ডুসেন-৫২, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা- ৫৯/৩)
ভারত: ২৮৩/১০ (কোহলি-৬৫, ধাওয়ান-৬১)
৪ রানে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*