সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৩ রানে হারাল ভারত। আজ শেষ দিনে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ছয় উইকেট। লাঞ্চ বিরতির পরপরই স্বাগতিকদের গুটিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বিরাট কোহলির দল।
সেঞ্চুরিয়নে প্রথম এশিয়ান দল হিসেবে টেস্ট জিতল ভারত। এর আগে কোনো এশিয়ান দল প্রোটিয়াদের ঘাঁটি সেঞ্চুরিয়ান থেকে জয় নিয়ে ফিরতে পারেনি।
শেষ দিনের শুরুতে নাইটওয়াচম্যান কেশভ মহারাজকে বোল্ড করে ফেরান জসপ্রিত বুমরা।
তবে ভারতের জয়ের মাঝে বাধা হয়ে ছিলেন ডিন এলগার। দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক এগোচ্ছিলেনও দারুণভাবে। তাঁর ১৫৬ বলে ৭৭ রানের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটান বুমরা।
এলগারের বিদায়ের পর কুইন্টন ডি ককরা আর প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয়েছে ১৯১ রানে।
জোহানেসবার্গে প্রথম বার ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজে সমতা ফেরানোর সঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টও তুলে নিল ডিন এলগারের দল।
দুটো টেস্ট খেলে একটা জিতে এগিয়ে গেল জয়ের শতাংশের হিসাবেও। যদিও পয়েন্ট তালিকায় ভারতের থেকে এক ধাপ নীচেই রইল তারা।
সেঞ্চুরিয়ানে প্রথম টেস্টে হারের পর আট নম্বরে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় টেস্টে জিতে পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে তারা। ৫০ শতাংশ ম্যাচ জিতে তিন ধাপ উঠে এসেছে প্রোটিয়ারা।
ভারত যদিও হারের পরেও চার নম্বর জায়গা ধরে রেখেছে। তাদের জয়ের হার ৫৫.২১ শতাংশ। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট নয়,
জয়ের শতাংশের হিসেবে ক্রমতালিকা নির্ধারিত হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা এখনও অবধি দুটি ম্যাচ খেলে একটিতে জেতায় তাদের জয়ের হার ৫০ শতাংশ।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। দুই দলই এখনও অবধি সব ম্যাচ জিতেছে। তাই তাদের জয়ের হার ১০০ শতাংশ।
ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় টেস্ট শুরু ১১ জানুয়ারি থেকে। সেই ম্যাচ জিতলেই সিরিজ পকেটে। দুই দলই তাকিয়ে রয়েছে কেপ টাউনের দিকে। ভারতের জন্য আশার খবর, সেই টেস্টে ফিরতে পারেন বিরাট কোহলী।