
আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে এক শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের সাক্ষী থাকলেন ক্রিকেট ভক্তরা। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় আমদাবাদের ২২ গজে যেন ব্যাটে আগুন ঝরালেন কেকেআরের দুই ব্যাটার বেঙ্কটেশ আইয়ার এবং রিঙ্কু সিং। বেঙ্কটেশ আইয়ার অনবদ্য এক ইনিংস খেলে কেকেআরের হয়ে জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন।
তবে ম্যাচের রঙ হঠাৎ করেই বদলে দেন গুজরাটের এই ম্যাচের অধিনায়ক রশিদ খান। হ্যাটট্রিক করে কেকেআর-কে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন রশিদ খান। এরপরেই অনবদ্য এক ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন রিঙ্কু সিং।
শেষ ওভারের শেষ পাঁচ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি এক অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন দলকে। ম্যাচ শেষে এই জয় প্রসঙ্গে বলতে ম্যাচের অন্যতম নায়ক বেঙ্কটেশ আইয়ার জানিয়েছেন কোচ চন্দ্রকান্ত পন্ডিত কীভাবে সবসম তাদেরকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন। কোচ সবসময় আইয়ারদের বলতেন যে কোনও দিন ২০০ রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার ক্ষমতা রাখেন তাঁরা।
ম্যাচ জয়ের পরে বেঙ্কটেশ আইয়ার জানিয়েছেন, ‘এক শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ ছিল। এই জয়ে দারুণ খুশি। আমাদের কোচ সবসময় আমাদেরকে বলেন যে কোনও দিন আমরা ২০০ রান তাড়া করে ম্যাচ জিততে পারি। সত্যি বলতে আজকের উইকেটটা ব্যাট করার জন্য সত্যি খুব ভালো ছিল।
আমি আমার পরিকল্পনা মত খেলার চেষ্টা করেছি। যখন জয়ের লক্ষ্য ২০০ রানের উপরে থাকে তখন কম রানের ওভার খেলার কোন জায়গাই কার্যত থাকে না। আমার এবং নীতিশের পার্টনারশিপটা ভালো হয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে হঠাৎ করেই যেন আমরা পথ হারিয়ে ফেলেছিলাম। তবে লর্ড রিঙ্কু এ দিন আমাদেরকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।’
বেঙ্কটেশ আইয়ার আরও জানিয়েছেন, ‘সত্যি বলতে আমরা শেষ পর্যন্ত বিশ্বাস রেখেছিলাম যে আমরা ম্যাচ জিতব। আর সেটাই বাস্তবে করে দেখিয়েছে রিঙ্কু। এই জয় নিঃসন্দেহে আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বাড়িয়ে দেবে।
জয়টাকে আমরা অভ্যাসে পরিণত করতে চাই। আমি নিজেও খুব একটা ভালো ফর্মে ছিলাম না। আজকে আমি ব্যাট করতে নেমে যতটা সম্ভব দেরি করে বলটা খেলার চেষ্টা করেছি। বোলাররা বেশ জোরে বল করছিল। আমি তাদের গতিকে ব্যবহার করেছি এ দিন। আর এটাই এ দিন আমার পক্ষে কাজ করেছে।’
গুজরাট টাইটানস এ দিনের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০৪ রান করে। বিজয় শঙ্কর মাত্র ২৪ বল খেলে করেন ৬৩ রান। সাই সুদর্শন করেন ৫৩ রান। জয়ের জন্য রান তাড়া করতে নেমে কেকেআরের হয়ে ৪০ বলে ৮৩ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস খেলেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৮টি চার এবং পাঁচটি ছয়ে। শেষ দিকে রিঙ্কু সিং ২১ বলে ৪৮ রানের একটি মারকাটারি ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
Leave a Reply