
দ্বিতীয় ম্যাচেও হল না। টেস্টের পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে একদিনের সিরিজেও হার ভারতের। প্রোটিয়াদের ওপেনিং পার্টনারশিপটাই ভারতের হাত থেকে ম্যাচ বের করে দিল। সেই পার্লেই প্রোটিয়াদের কাছে সাত উইকেটে হেরে গেল টিম ইন্ডিয়া।।







এদিন ব্যাটসম্যানরা মান রাখলেও, আগের দিনের মতো এদিনও সেই প্রোটিয়া ব্যাটারদের সাজঘরে ফেরাতে ব্যর্থ ভারতীয় বোলাররা। বুমরা এবং চাহাল পরপর দু উইকেট নিয়ে ভারতীয় শিবিরকে খানিকটা অক্সিজেন যোগালেও শেষরক্ষা হল না।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৭ উইকেটে হেরে সিরিজও হাতছাড়া ভারতের। প্রথম ম্যাচে হার। সিরিজ জেতার আশা জিইয়ে রাখতে হলে দ্বিতীয় ম্যাচে জিততেই হত ভারতকে। কিন্তু লোকেশ রাহুলরা তা পারেননি।
বরং এদিনও প্রোটিয়া ব্যাটরদের ওপর সেই চাপটা রাখতে পারল না ভারতীয় বোলাররা। টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের ভার প্রাপ্ত অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। আলোচনা হলেও অপরিবর্তিত প্রথম একাদশই নামানোর সিদ্ধান্ত নেন রাহুল।
শুরুতেই জোড়া ধাক্কা ভারতের। টপ অর্ডার ব্যর্থ। ৬৪ রানের মধ্যে ফিরে যায় দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার শিখর ধওয়ান ও বিরাট কোহলি। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক এদিন এক রানও যোগ করতে পারেননি।







সেই সময় ঘুরে দাঁড়াতে প্রয়োজন ছিল একটা বড় রানের পার্টনারশিপের। আর সেটাই দেখা গেল এদিনঋষভ পন্থ এবং লোকেশ রাহুলকে। ৬৪/১ থেকে ভারতের রানটা ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটা শুরু করেন এই দুই তরুণ তারকা।
একদিনের ক্রিকেটে কেরিয়ারের প্রথম শতরানটা হয়ত এদিনই পেতে পারতেন ঋষভ পন্থ। কিন্তু তিনি পারেননি। মাত্র ১৫ রানের জন্য তা হাতছাড়া হয়। তিনি ৮৫ রানে যখন তিনি ফেরেন সেই সময় ভারতের রান ৪ উইকেটে ১৮৩।
তার আগেই ১৭৯রানের মাথায় সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। তিনি করেন ৫৫ রান। এরপর আবারও সেই মিডল অর্ডার ব্যর্থ। শ্রেয়স আইয়ার ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা বোলারদের ওপর চাপ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়।
শেষের দিকে সেই শার্দূল ঠাকুর। ৪০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে ভারতের রান ২৮৭-তে পৌঁছে দেন। সঙ্গে অবশ্যই অশ্বিনের২৫ রানের যোগ্য সঙ্গদ।







হাতে লড়াই করার মতো রান ছিল। অপেক্ষাটা ছিল বোলারদের থেকে একটা ভাল পারফরম্যান্সের। কিন্তু সেটাই করতে পারেননি বুমরা, চাহাল এবং শার্দূলরা। দক্ষিণআফ্রিকার ওপেনিং পার্টনারশিপটাই এদিন ম্যাচের ভবিষ্যতটা নিশ্চিত করে দিয়ে যায়।
ডি কক ও মালানের ১৩২ রানের পার্টনারশিপ। ডিকক ফেরেন ৭৮ রানে। এরপরে মালানকে ৯১ রানে সাজঘরে ফেরান বুমরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাভুমাকে ফিরিয়ে দেন চাহাল।দক্ষিণ আফ্রিকার রান তখন ৩ উইকেটে ২১৪।
একটা ক্ষীণ আশা জাগলেও, সেই চাপটা ধরে রাখতে পারেননি ভারতীয় বোলাররা। আর এক উইকেটও তুলতে পারেননি ভুবনেশ্বর থেকে অশ্বিনরা। প্রোটিয়াদের দেশে বছরের শুরুটা একেবারেই ভাল হল না ভারতের।







Leave a Reply