ভারতীয় ওপেনার কেএল রাহুল ও ময়াঙ্ক আগরওয়াল ইতিহাস লিখলেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। তাঁদের শতরানের পার্টনারশিপে রবিবার সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে ভারতের ১১ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটল।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শুভারম্ভ হয়েছে রবিবার। বক্সিং-ডে টেস্টে মুখোমুখি কোহলি বনাম ডিন এলগার।
এদিন টস জিতে ভারত ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। রাহুল-ময়াঙ্ক এদিন ওপেন করতে নেমে ১১৭ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। তাঁরা ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে তৃতীয় ওপেনিং জুটি নেলসন ম্যান্ডেলার দেশে ১০০ রানের পার্টনারশিপ করলেন।
২০০৭ সালে ওয়াসিম জাফর ও দীনেশ কার্তিক কেপটাউনে ১৫৩ রানের পার্টনারশিপ করেছিলেন। এর তিন বছর পর গৌতম গম্ভীর ও বীরেন্দ্র শেহওয়াগ ১৩৭ রান করেন। সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ৫২ নম্বর ইনিংসে সফররত দেশের দুই ওপেনার শতরানের যুগলবন্দি করলেন।
ময়াঙ্ক এদিন ৬০ রান করে লুঙ্গি নিদির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান। ময়ঙ্ক তাঁর টেস্ট কেরিয়ায়ে ৬ নম্বর হাফ-সেঞ্চুরি করেন। তিনি দ্বাদশ ভারতীয় ওপেনার হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ফিফটি করলেন শেষ আট বছরে। এর আগে মুরলী বিজয় ২০১৩-১৪ মরশুমে ডারবানে ৯৭ করেছিলেন।
পরিসংখ্যান বলছে ময়াঙ্ক এখন তাঁর খেলা পাঁচ দেশেই হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন টেস্টে। অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর জোড়া অর্ধ-শতরান আছে। চারটি শতরান ও একটি ফিফটি তিনি করেছেন ভারতে।
নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে পেয়েছেন ৫০ রানের ইনিংসের স্বাদ। এবার একটি ফিফটি করলেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। ওপেনার হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ময়াঙ্কের খেলার কথাই ছিল না।
রোহিত শর্মা যদি চোটের জন্য টেস্ট থেকে ছিটকে না যেতেন তাহলে রাহুলের সঙ্গে রোহিতই খেলতেন। রোহিতের বদলে দলে এসেছেন প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চাল।