হতভম্ব ক্রিকেটবিশ্ব: মরণ রোগ থেকে বাঁচতেই নিরামিষ কিং কোহলি

ভারতীয় ক্রিকেট দলের ফিটনেস নিয়ে কথা বলতে গেলে সবার আগে আসবে বিরাট কোহলির নাম। ফিটনেসের দিক থেকে তিনি বাকিদের থেকে অনেক এগিয়ে থাকেন। বয়স বাড়লেও ফিটনেস কমার কোনও লক্ষণ নেই। ফিটনেস ধরে রাখতে বিরাট কোহলির অনুশীলনের পাশাপাশি রয়েছে ডায়েট। সঠিক ডায়েট মেনেই ধরে রেখেছেন ফিটনেস।

বিরাট কোহলির ফিটনেসের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তাঁর নিরামিষখাবার। দিল্লির ছেলে বিরাট দীর্ঘদিন ধরে নিরামিষখান। ভারতীয় দলে যেখানে সব প্লেয়াররা আমিশ খাবার খান সেখানে বিরাট কেন নিরামিশ? এই প্রশ্নটা অনেকবার করেছেন সমর্থকরা। বিরাট নিজেই জানিয়েছেন তাঁর নিরামিশাসী হওয়ার কারণ।

কিছুদিন আগে একটি সাক্ষাৎকার সামনে আসে বিরাট কোহলির। যেখানে কোহলিকে প্রশ্ন করা হয় কেন তিনি মাছ-মাংস খান না। জবাবে বিরাট বলেন, “নিরামিষ খাওয়া শুরু করেছি স্বাস্থ্যের জন্য। ২০১৮ সালে আমি দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলছিলাম এবং আমার ঘাড়ে সমস্যা শুরু হয়।

শিরদাঁড়ায় সমস্যা শুরু হয় সেখান থেকে। ধীরে ধীরে নার্ভে প্রভাব ফেলে। আমার হাতেও ব্যথা শুরু হয়। কয়েকদিন ব্যথা হচ্ছিল। রাতে ঘুমোতে পাচ্ছিলাম না। একদিকে চাপ দিয়ে ঘুমোতে পারতাম না। বারবার এপাশ ওপাশ করতে হত।”

টানা সমস্যা চলতে থাকায় বিরাটের পরীক্ষা করা হয়। বিরাট বলেন, “পরীক্ষা করে দেখা যায় আমার ঘাড়ে একটা অংশ ফুলে গিয়েছে। সেখান থেকে নার্ভে সমস্যা হচ্ছিল। সেই সময় চিকিৎসক আমাকে জানান, আমার পাকস্থলিতে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে এবং এরফলে আমার ক্যালশিয়ামের পরিমাণ কমছিল।

যারজন্য আমার স্বাস্থ্য খারাপ হয়। এটার কারণ ছিল অতিরিক্ত মাংস খাওয়া। আমাকে ডায়েট পরিবর্তন করার পরামর্শ দেয়। মাংস কমাতে বলেন। আমি তারপর থেকে বন্ধ করে দিই।”

শুধু মাংস খাওয়া নয়, বিরাট নিজের ডায়েট থেকে তেল মশলা বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু একদিকে ছোলে ভাটুরে আর অন্যদিকে ডায়েট মেনে চলাটা বেশ কঠিন ছিল তাঁর কাছে। কিন্তু তিনি সেটাও কাটিয়ে ওঠেন। বিরাট জানিয়েছিলেন,

তিনি দিল্লি গেলেই ছোলে ভাটুরে, কুলচার মত খাবার খান। এবং তারপর তিনি জিমে গিয়ে ডাবল পরিশ্রম করেন। অর্থাৎ, যেই পরিমাণ ক্যালরি তিনি খান, সেই পরিমাণ ক্যালরি তিনি ঝরিয়ে ফেলেন। বর্ডার গাভাসকার ট্রফির দিল্লি টেস্টের সময় ছোলে কুলচে দেখে বিরাটের অভিব্যক্তি সকলেরই জানা।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *