
২০১৯ সালে পিঠের অস্ত্রোপচারের পর থেকেই পাণ্ডিয়াকে পিঠের সমস্যা চলছে। যা তাঁকে ভোগাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এখন মুম্বইতে রিহ্যাব করাচ্ছেন ভারতের স্টার অলরাউন্ডার।







মূলত স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং মডিউলে রয়েছেন তিনি। চোটের জন্যই টি-২০ বিশ্বকাপে রীতিমতো বিবর্ণ দেখিয়েছিল তাঁকে। ফিটনেস এবং ফর্ম ইস্যুতেই পাণ্ডিয়া এখন দলের বাইরে।
কবে খেলায় ফিরবেন কেউই জানেন না! তবে পাণ্ডিয়াকে আজ থেক তিন বছর আগেই চোটের ব্যাপারে আগাম সতর্ক করেছিলেন শোয়েব আখতার । প্রাক্তন কিংবদন্তি পাক জোরে বোলার আকাশ চোপড়ার ইউটিউব চ্যানেলে এমনটাই জানালেন।
আখতার বলছেন, “আমি জসপ্রীত বুমরাহকে এবং হার্দিক পাণ্ডিয়াকেও বলেছিলাম কয়েকটা বিষয়। আমার আজও কাঁধের পিছনের পেশি অত্যন্ত শক্তিশালী।
কিন্তু ওরা অত্যন্ত শীর্ণকায়। আমি চমকে গিয়েছিলাম যা দেখে। আমি পাণ্ডিয়াকে সতর্ক করেছিলাম যে, ওর চোট লাগতে পারে। পাণ্ডিয়া বলেছিল ও এই শরীর নিয়েই প্রচুর ক্রিকেট খেলছে।







আমি বলার ঠিক দেড় ঘণ্টার মধ্যে ও চোট পেয়েছিল।” আখতার ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের কথা মনে করিয়ে দেন। সেবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল।
ম্যাচের ১৮ নম্বর ওভারে পাণ্ডিয়া চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছেড়েছিলেন। তাঁর বদলে মণীশ পাণ্ডে ফিল্ডিং করেছিলেন। পরে বিসিসিআই জানায় যে, পিঠের নিচের দিকেই চোট পেয়েছেন পাণ্ডিয়া।
এরপর থেকে পাণ্ডিয়া চোট নিয়ে ভুগছেন। এমনকী গতবছর আইপিএলের পর থেকে আর বল করতে দেখা যায়নি বরোদার ক্রিকেটারকে।
আখতার পরামর্শ দিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার ও মোহাম্মদ শামিকেও । ‘রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস’ ভারতের দুই তারকা পেসারকে ফিটনেস মন্ত্র দিয়েছেন।







“ভুবনেশ্বরকে গ্লুটাল পেশি, হ্যামস্ট্রিং ও লোয়ার ব্যাক ও আপার টর্সো শক্তিশালী করতে হবে। শামিকে শরীরের ওপরের অংশ আরও পাতলা করতে হবে। বুমরাহর জন্যও একই কথা বলব।
ফাস্ট বোলারদের পেশি গঠন করতে হয়। একটা সিরিজে ছয় ইঞ্চি পেশি বানিয়ে গেলে, ফিরতে হয় দুই ইঞ্চি পেশি নিয়ে। কারণ পেশির মাংস কমে যায়।
ঠিক করতে হবে যে কতটা দৌড়াতে হবে। সপ্তাহে দু’বার লম্বা দৌড়াতে হবে। এটাই যথেষ্ট। কিন্তু কেউ যদি বিধ্বংসী ফাস্ট বোলার হয় তাহলে স্লেজ রানিংয়ের মতো বিশেষ ট্রেনিং করতে হয়।” এখন দেখার কিংবদন্তি জোরে বোলারের পরামর্শ শুনে ভারতীয় পেসাররা পেশিগঠনের দিকে জোর দেয় কিনা!







Leave a Reply