
ভারতীয় অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া দীর্ঘদিন ধরে ইনজুরিতে রয়েছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় সমস্ত বাধা-নিষেধ উপেক্ষা করে ভারতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল তাকে।







বিশ্বকাপের আসরে তার ফল ভোগ করেছে টিম ইন্ডিয়া। ব্যাট হাতে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন পান্ডেয়া। তাছাড়া বল হাতে তাকে মাঠে নামতেই দেখা যায়নি। তাই যতদিন না পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থ হচ্ছেন ততদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবেন না পান্ডেয়া, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। বর্তমানে ভারতীয় দল হার্দিক পান্ডিয়ার বিকল্প খুঁজতে ব্যস্ত।
আকাশ চোপড়া উল্লেখ করেছেন যে হার্দিক পান্ডিয়ার থেকে ভারতীয় দল যে ভূমিকা আশা করেছিল সেই ভূমিকায় সাম্প্রতিক সিরিজে দেখা যাচ্ছে শার্দূল ঠাকুরকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চলমান দ্বিতীয় টেস্টে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে এখনও অবধি সেরা পারফর্মার শার্দূল।







স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংসে সাত উইকেট নেওয়ার পর সিম-বোলিং অলরাউন্ডার ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে মূল্যবান ২৮ রান করেছেন। তারপর যখন দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট করতে নামে তখন তাদের প্রথম উইকেটও শার্দূল তুলে নেন।
তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে, আকাশ চোপড়া হার্দিক পান্ডিয়ার অনুপস্থিতিতে শার্দূলের উত্থানের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, “সত্যি কথা বলতে, আমরা হার্দিক পান্ডিয়ার কাছ থেকে যা আশা করেছিলাম তা করছেন শার্দূল ঠাকুর। আমরা বারবার হার্দিকের দিকে তাকিয়ে থাকতাম যে সে বোলিং করবে এবং ব্যাট দিয়ে রান করবে।”
দুই অলরাউন্ডারের শক্তি ভিন্ন তা স্বীকার করার পাশাপাশি তিনি শার্দূলের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেছেন। চোপড়া ব্যাখ্যা করেছেন, “অবশ্যই, শার্দুল এবং হার্দিকের ব্যাটিংয়ের মধ্যে কোনও তুলনা নেই। ব্যাটিংয়ের দিক থেকে হার্দিক শার্দূলের চেয়ে অনেক উপরে কিন্তু প্রতিশ্রুতি আছে শার্দূলের, সে রান করছে।







শার্দূলের বোলিং হার্দিকের চেয়ে অনেক ভালো। গুরুত্বপূর্ণ রান, গুরুত্বপূর্ণ উইকেট এবং পূর্ণ বিনোদন। আমি শার্দূল ঠাকুরকে পছন্দ করি।”
পিঠের সমস্যার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন পান্ডিয়া। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে আসন্ন ওডিআই সিরিজেও টিম ইন্ডিয়ার স্কোয়াডে এই ব্যাটিং অলরাউন্ডারের জায়গা হয়নি।
আকাশ চোপড়া উল্লেখ করেছেন যে শার্দূলের দ্বিতীয় ইনিংসের ২৮ রানের তাৎপর্য কেবল ম্যাচের শেষেই জানা যাবে। তাঁর ভাষ্যে, “ঠাকুর সাহেব যে কাজটি করেছেন তা অবিশ্বাস্য। প্রথমে তিনি সাত উইকেট নেন এবং তার পরে, তিনি ২৪ বলে ২৮ রান করেন। আপনি গতকাল সেই ২৮ রানের গুরুত্ব বুঝতে পারেননি কিন্তু আপনি আজ তা বুঝবেন। কারণ মাত্র ১২২ বাকি আছে।”







৪৪ বছর বয়সী এই বলে শেষ করেছেন যে সংক্ষিপ্ত কিন্তু কার্যকর ইনিংসটি টিম ইন্ডিয়াকে একটি অনিশ্চিত পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিয়েছে। চোপড়া বিস্তারিত বলেছেন, “যদি তিনি সেই ২৮ রান না করতেন, তাহলে সম্ভবত ৮০ বাকি থাকত, ১২২ নয়। হনুমা বিহারীর সাথে পার্টনারশিপ সেখানে থাকত না এবং ভারত একটি বড় সমস্যায় পড়ত।”
৬ উইকেটে ১৮৪ রানের অবস্থায় শার্দূল আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। সেখান থেকে তিনি ও হনুমা বিহারী (অপরাজিত ৪০) মিলে ভারতকে ২৬৬ তুলতে সাহায্য করেন।
Leave a Reply