দশ বছর আগে তাঁর বলে মাইকেল হাসির ক্যাচ ফস্কেছিলেন। যে ক্যাচ সেই ম্যাচের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেই ‘ভুল’-এর জন্য ভারতীয় দলের হেড কোচ হয়েও তাঁর কাছে ‘ক্ষমা’ চেয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়।
এমনটাই জানালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ‘৪০ শেডস অফ অ্যাশ #আস্ক অ্যাশ’ অনুষ্ঠানে অশ্বিনকে প্রশ্ন করা হয়, কোন বাঁ-হাতি ব্যাটার তাঁর বিরুদ্ধে সবথেকে ভালো খেলেছেন? সেই প্রশ্নের জবাবে অশ্বিন বলেন, ‘আমি শুধু এটাই বলব, আমার বিশ্বাস যে মাইক হাসি আমায় ভালো খেলেছিল। মেলবোর্নে রাহুল ভাই একটি ক্যাচ ফেলেছিল।
কোচ হওয়ার পরও ড্রেসিংরুমে এসে ওটা বলেছে। আমি যখন ভারতীয় দলে ঢুকেছিলাম, তখন আমি শিক্ষানবীশের মতো ছিলাম। তারপর অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলাম।
মাইক হাসিকে বল করেছিলাম। তবে আমার সত্যিই মনে হয় যে ও (হাসি) দুর্দান্ত ব্যাটার। তবে বাঁ-হাতি হোক বা ডান-হাতি, সেই বিষয়টার তেমন কোনও গুরুত্ব নেই।
অপর যে ব্যাটসম্যানকে আমি উপরের দিকে রাখব, সে হল অ্যালেস্টার কুক। ২০১২ সালের সফরে আমাদের বিরুদ্ধে ভালো খেলেছিল। পরে বাজিমাত করেছিলাম আমি।’
কিন্তু কোন ক্যাচ ফেলার কথা বলছেন অশ্বিন? ২০১১ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে রীতিমতো বিপাকে পড়ে গিয়েছিলেন অজিরা।
১৪৮ রানে ছ’উইকেট পড়ে গিয়েছিল। একা লড়াই করছিলেন হাসি। ৫০ তম ওভারে দুর্দান্ত বলে হাসিকে ক্রিজের বাইরে বের করে এনেছিলেন অশ্বিন।
বল সামান্য ঘুরে হাসির ব্যাটের কাণায় লেগে দ্রাবিড়ের কাছে গিয়েছিল। একেবারে সাধারণ ক্যাচ ছিল। কিন্তু সেই ক্যাচ ফস্কে দিয়েছিলেন দ্রাবিড়। সেই সময় অজিদের স্কোর ছিল ছ’উইকেটে ১৬৩।
শেষপর্যন্ত সেই হাসির ৮৯ রানের সৌজন্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪০ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। অনেকের মতে, সেই ক্যাচ ধরতে পারলে ওই ম্যাচের ভাগ্য পালটে যেতে পারত। যে ম্যাচে ১২২ রানে হেরেছিল ভারত।
তবে সেই ঘটনার জন্য আগেও ক্ষমা চেয়েছেন দ্রাবিড়। এনডিটিভিতে একটি অনুষ্ঠানে দ্রাবিড় বলেছিলেন, ‘অশ্বিন দুর্দান্ত বল করছিল। সত্যিই ভালো বল করছিল ও।
আমি মাইকেল হাসির একেবারে সহজ ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলাম। সেটাই আমার শেষ সিরিজ ছিল। সেই সময় ব্যাটার এবং স্লিপ ফিল্ডার হিসেবে আমি রীতিমতো সমস্যার মুখে পড়ছিলাম।
এটা ভালো যে আমি তারপর অবসর নিয়েছি। অশ্বিন খুব ভালো বল করছিল। হাসিকে বোকা বানিয়েছিল। যে স্পিনের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত। ও (অশ্বিন) বোকা বানিয়েছিল এবং আমি ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলাম।’ হালকা মেজাজে বলেন, ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী অশ্বিন। তখনও আমি ওকে সরি বলেছিলাম।’