
বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বে আলোরন সৃষ্টিকারি ব্যাটিংদের খুজতে গেলে রোহিত শর্মার নাম তালিকায় উঠবেই এটা সবারি জানা। তার ব্যাটিং পার্ফোমেন্সি বলে দেয় সে কতটা ভয়ানোক ব্যাটিং।







ভারতীয় ক্রিকেটার রোহিত শর্মার জীবন বদলেছিল এক থাপ্পড় আর ২৭৫ টাকায়! কী সেই ঘটনা? রোহিতের কোচ দীনেশ ঘটনা যেভাবে জানালেন, আমি কোনো ছাত্রের গায়ে সাধারণত হাত তুলি না। বকাবকি করি।
কিন্তু মারধরের রাস্তায় হাঁটি না। কিন্তু দুজনের গায়ে হাত তুলতে বাধ্য হয়েছিলাম। একজন রোহিত। আর দ্বিতীয় জন আমার ছেলে সিদ্ধেশ। গুরুর হাতের মার খেয়ে দুজন শিষ্যর জীবন বদলে গিয়েছে।গত শুক্রবার মাঝেরহাটের ইস্টার্ন রেলওয়ে স্পোর্টস একাডেমিতে বসে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে দীনেশ বলছিলেন, মুম্বাইয়ের ক্রিকেট মহলে একটা কথা প্রচলিত রয়েছে।
কিছুতেই উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসা চলবে না। ভালো ডেলিভারিতে আউট হলে অন্য কথা। খারাপ বলে আউট হওয়া অপরাধ। রোহিত তখন স্কুলের ছাত্র। ১১/১২ বয়স। একটা ম্যাচে নিজের উইকেট ছুড়ে দিয়ে এলো। ম্যাচটা ছিল কোয়ার্টার ফাইনাল।রোহিতের স্কুল স্বামী বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলও জয়ের দোরগোড়া থেকে ফিরে এলো। ম্যাচটা হারতে হলো শেষমেশ।







ওর আউট হওয়ার ধরন দেখে আমি নিজেকে স্থির রাখতে পারলাম না। রোহিতের কানের পাশে কষিয়ে একটা থাপ্পড় মেরে বসলাম। ওই সময়ে থাপ্পর না খেলে রোহিত হয়তো নিজের ভুল বুঝতে পারতেন না।ভারতের হয়ে এখনও ব্যাট হাতে নামলে গুরুবচন তার কানে বাজে। ক্রিজ কামড়ে পড়ে থাকার চেষ্টা করেন রোহিত।
একবার সেঞ্চুরির গণ্ডি পেরোলেই গাড়ি সিগন্যাল মানে না।বিপক্ষের বোলারের রাতের ঘুম কেড়ে নেন এই মুম্বাইকর। সেঞ্চুরি থেকে অবলীলায় ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান। অর্থাৎ দীর্ঘসময় ধরে ক্রিজে টিকে থাকার মন্ত্র সেই ছোটবেলাতেই রোহিতের কানে ঢুকে দিয়েছিলেন গুরু। সেই মন্ত্রর জোরেই রোহিত এখনও এগিয়ে চলেছেন







Leave a Reply